এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে 18 জুলাই পর্যন্ত
কলকাতা: স্নাতকোত্তরের ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঁধে দেওয়া শর্তকে আদালতের এক বিচারপতির বেঞ্চ থেকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করার কয়েকদিন বাদে ওই নির্দেশের ওপর কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করা হল। স্নাতকোত্তরের সমস্ত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ওপর রাজ্য সরকার থেকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, পাশ করার পর তাঁদের প্রত্যেককে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার অংশ হিসাবে কাজ করতে হবে তিন বছর। অন্যথায় 30 লক্ষ টাকা দিতে হবে সরকারকে। আদালতের এক বিচারপতির বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করার পর প্রধান বিচারপতি জে ভট্টাচার্য এবং এ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ ওই রায়ের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে। এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে 18 জুলাই পর্যন্ত।
এক বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রথম শুনানিটি হবে 16 জুলাই।
বিচারপতি আই পি মুখার্জী গত 6 জুলাই তিন বছরের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত তাঁর রায়ের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখা করার নির্দেশ দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।
তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে কারণ ব্যাখা করে 20 জুলাইয়ের মধ্যে একটি এফিডেবিট ফাইল করার নির্দেশ দেন। কয়েকজন পড়ুয়ার দাখিল করা পিটিশন পর্যালোচনা করে 27 জুলাই শুনানির দিন ঠিক করেন তিনি।
প্রায় 139 জন স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পড়ুয়া রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের 2014 সালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার মেয়াদ বাড়িয়ে এক বছর থেকে তিন বছর করা হয়েছিল ওই নির্দেশে।
সরকার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যদি তাঁরা গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার ওই প্রকল্পতে নিজেদের নাম নথিভুক্ত না করেন, তাহলে, মেডিক্যাল পড়ুয়াদের তিন বছরে ভেঙে ভেঙে মোট 30 লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। বছরে 10 লক্ষ টাকা করে।
গত নভেম্বরে বিচারপতি মুখার্জী সরকারের আদেশকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে ঘোষণা করে একটি রায় দিয়েছিলেন।
এই মাসের শুরুর দিকে, কয়েকজন আবেদনকারী আদালতকে জানান, রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করছে না। নিজেদের জারি করা সেই পুরনো নির্দেশই মেনে চলছে সরকার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)