This Article is From Aug 26, 2019

বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ভোট দিতে দেওয়া থেকে তাঁদের জোর করে আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১১ জন কাউন্সিলর।

বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোট বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের দফতরে ১২দিনের মধ্যে নতুন করে ফের আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।

কলকাতা:

বনগাঁ পুরসভায় (Bongaon Municipality) গতমাসে হওয়া আস্থা ভোট খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট, চেয়ারম্যান পদের জন্য নতুন করে ফের আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের দফতরে ১২দিনের মধ্যে নতুন করে ফের আস্থা ভোট করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলরকে নতুন করে ফের নোটিস পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। নতুন আস্থা ভোটে সমস্ত কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ভোট দিতে দেওয়া থেকে তাঁদের জোর করে আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১১ জন কাউন্সিলর।

তৃণমূল বলতে চাইছে, ১১-এর থেকে ১০ বড়, বনগাঁ পুরসভা নিয়ে মন্তব্য হাইকোর্টের

১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভায় (Bongaon Municipality) আস্থা ভোট হয়, সেই ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি, জয়ের দাবি করে দুপক্ষই।

ভোটে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। ভোট শেষ হওয়ার পর, মহকুমাশাসক ও জেলাশাসককে নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ১০-০ ভোটে জয়ী হয়েছে চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। ২২ জনের বনগাঁ পুরসভায় ১০ জন তৃণমূলের এবং ১ জন সিপিআইএমের কাউন্সিলর।

আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় বনগাঁয় (Bongaon Municipality)। বোমাবাজি এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। পুলিশ এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে, তাঁদের ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন বিজেপি কাউন্সিলর। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের আনুগত্যেই তাঁদের বাধা দিয়ে আদালত অবমনাননা করা হয়েছে।

অপহরণের মামলায় আগাম জামিন দুই বিজেপি কাউন্সিলারের

তাঁদের দাবি, ১১ জনের সাক্ষর করিয়ে তাঁরা একটি প্রস্তাব নিয়েছেন, সেখানে চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের প্রতি “অনাস্থা” এনেছেন তাঁরা। বিজেপির আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী আদালতে বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলররা একটি আলাদা প্রস্তাবে চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা এনেছেন। এটিকে অবৈধ বলেও দাবি করেন তিনি।

অশোক চক্রবর্তীর যুক্তি, একটি প্রস্তাবে টালমাটাল অবস্থায় ভোটাভুটির জন্য, আরেকটি প্রস্তাব আনা যায় না, এটিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করে চিনি বলেন, এটি বিচারাধীন। তাঁর আরও যুক্তি, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার যে রিপোর্ট জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসককে নির্বাচনী আধিকারিক দিয়েছেন, সেটি আইনত ভুয়ো।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.