This Article is From Mar 05, 2020

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে কেন্দ্রের দেওয়া “ভারত ছাড়ার নোটিশে” স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কলকাতার “আঞ্চলিক বৈদেশিক নথিভুক্তকরণ কার্যালয়” বা রিজিওনাল রেজিস্ট্রেসন অফিস (FRRO), থেকে ভারত ছাড়ার নোটিশ জারি করা হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

মার্চের ১৮ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রের এই নোটিশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট

কলকাতা:

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে মিছিলে যোগ দেওয়ায় যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পোল্যান্ডের ছাত্রকে কেন্দ্রের জারি করা ভারত ছাড়ার নোটিশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । মার্চের ১৮ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্রের এই নোটিশে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য, সেদিনই ছাত্রের দায়ের করা মামলা নিয়ে রায় দেবে আদালত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক  সাহিত্যে স্নাতকোত্তরের ছাত্র পোল্যান্ডের কামিল সিয়েজনিস্কি (Kamil Siedczynski) । গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কলকাতার “আঞ্চলিক বৈদেশিক নথিভুক্তকরণ কার্যালয়” বা রিজিওনাল রেজিস্ট্রেসন অফিস (FRRO),  থেকে ভারত ছাড়ার নোটিশ জারি করা হয়।

সিএএ অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানাল ভারত

পোল্যান্ডের ওই ছাত্রের আবেদনের বিরোধিতা করে, কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে বলে, একজন পড়ুয়া ভিসা থাকা সত্ত্বেও, ভারতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের বিরোধিতা করতে পারেন না কোনও বিদেশি পড়ুয়া। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির যুক্তি, একজন বিদেশি সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন না, যেহেতু এটা তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

Advertisement

হাইকোর্টে দায়ের করা মামলার আবেদনে, ওই ছাত্র নোটিশে তাঁকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার ওপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানান, নোটিশ পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে তাঁকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি নোটিশ পান ওই ছাত্র, ফলে ৯ মার্চের মধ্যে এদেশ থেকে  চলে যেতে হত তাঁকে।

নরেন্দ্র মোদি ও সিএএ নিয়ে কটাক্ষ করে টুইটারে জনপ্রিয় ব্রিটিশ কৌতুকবিদ

Advertisement

পাঠানো ওই নোটিশে ছাত্রের বিরুদ্ধে, সরকার বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে, অভিযোগ, তাতে ভিসার নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে,যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ছাত্র।

পোল্যান্ডের নাগরিক ওই ছাত্রের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, ২০১৯ এর ১৯ ডিসেম্বর, কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি, ফলে তাঁদের সঙ্গে থাকতে হয়। কাজটি তিনি অনিচ্ছাকৃত এবং কৌতুহলবশত করেছেন বলে দাবি করে, জয়ন্ত মিত্র বলেন, এটা পরিষ্কার যে, সমাজের বিভিন্ন দিকের মানুষের ওই বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ছিল।

Advertisement

তাঁর দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্য ছাত্রদের থেকে আলাদা হয়ে যান পোল্যান্ড থেকে আসা ওই ছাত্র এবং দর্শক হিসেবে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। ছাত্রটির দাবি, এক ব্যক্তি তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর ছবি তুলেছিলেন এবং পরে জানা যায়, তিনি একটি বাংলা দৈনিকের চিত্র সাংবাদিক, সেখানে তাঁর ছবি এবং প্রাসঙ্গিক খবর ছাপা হয়। আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র দাবি করেন, রিপোর্টে কিছু জিনিস ভুলভাবে তাঁর ওপর চাপানো হয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement