This Article is From Apr 18, 2020

করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা হোক: কলকাতা হাইকোর্ট

Coronavirus: করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) গাইডলাইন মেনে চলুক রাজ্য, বলে আদালত

করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা হোক: কলকাতা হাইকোর্ট

Kolkata High Court: ২৩ এপ্রিল, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে

হাইলাইটস

  • রাজ্যে আরও বেশি করে করোনা টেস্ট করা হোক, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
  • আদালত বলে, হু এবং আইসিএমআরের গাইডলাইন মেনে চলুক রাজ্য সরকার
  • ২৩ এপ্রিল, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে হলফনামা দিতে হবে
কলকাতা:

আরও দ্রুতগতিতে করোনা সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হোক, রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। COVID-19 মহামারীতে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য সামনে আনুক পশ্চিমবঙ্গ সরকার, এই মর্মে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই কথা বলে।রাজ্য সরকারের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে বর্তমানে দৈনিক ৩০০ টিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদালতকে রাজ্যের তরফে স্বাস্থ্য সচিব জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা টেস্ট করার জন্যে পরীক্ষাগারের সংখ্যা বেড়েছে, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব ওই পরীক্ষাগুলো করাও হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যে করোনা টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়ানো হোক। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) গাইডলাইন মেনে চলুক রাজ্য, এমন কথাও বলা হয় বিচারপতিদের তরফে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া ওই শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, "আমাদের মনে করি সরকারের তরফে আরও বেশি করে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তিদের শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন এবং যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সেগুলোর পরীক্ষা করা উচিত, গোটা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুক সরকার"।

বাজারে ভিড় নয়, প্রয়োজনে নামানো হবে সশস্ত্র পুলিশ: মুখ্যমন্ত্রী

ওই জনস্বার্থ মামলার সওয়াল করে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করেছে রাজ্য। সেই কমিটি ঘুরে করোনা মৃতের সংখ্যা প্রকাশ্যে আসতে আসতেই রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য জানতে চাওয়া হোক আদালতের তরফে। এরপরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ২৩ এপ্রিল, সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশদ জবাব চেয়ে হলফনামা তলব করেছে।

করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে ৬.২ দিনে, লকডাউনের আগে লাগত ৩ দিন

পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারেকে হলফনামা দিয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতেও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য ওই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই আদালতকে জানিয়েছে যে, ১৬ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় ২৫,৮,৮০৫ টি পিপিই,  ১৫,২,৪৬০ টি N-95 মাস্ক, ৪,৫৩,৭৭৫ টি দ্বিস্তরীয় মাস্ক, ৯১,৭,৭৫০ টি ত্রিস্তরীয় মাস্ক দেওয়া হয়েছে।রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে ৪৭,৫০০ জোড়া গ্লাভস এবং ৫৩,৭৬৯ লিটার স্যানিটাইজারও।

পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে এখনও করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.