রাজ্যপাল Jagdeep Dhankhar "ধারাবাহিকভাবে" রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে চলেছেন, বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
হাইলাইটস
- রাজ্যপালকে ছাড়াই হতে পারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান
- এমন ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
- রাজ্য সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ না জানানোর ভাবনা
কলকাতা: এবার আরও স্পষ্ট হল রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার দ্বন্দ্ব। রাজ্যের (West Begal) শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন প্রয়োজনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University)। মনে করা হচ্ছে, যেভাবে রাজ্য সরকারকে লক্ষ্য করে "ধারাবাহিক" সমালোচনা করছেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) তার জেরেই ওই মন্তব্য ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee)। তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী একথাও বলেন যে, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বশাসিত সংস্থা, তাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই। জানা গেছে. আগামী ২৮ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সাধারণ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মতো একটি অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ করতেই হয়, কিন্তু পরিস্থিতি সেই নিয়মের বিপরীত ভাবতে বাধ্য করছে।
"তিনি যেভাবে ধারাবাহিকভাবে তাঁর টুইটের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি পদক্ষেপকে লক্ষ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন, তাতে পরিষ্কার যে রাজ্যপাল হিসাবে নিজের মর্যাদাকে রক্ষা করতে পারছেন না তিনি... সুতরাং, আমাদেরও এই জাতীয় পদক্ষেপ (সমাবর্তনে তাঁকে আমন্ত্রণ না করার মতো) বেছে নেওয়ার কথা ভাবতে হচ্ছে", কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল উপস্থিত থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবেই ওই কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নৈহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ডের বিস্তারিত তদন্তের দাবি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
সোমবার, উপাচার্য এবং উচ্চশিক্ষা সচিবের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যে রাজভবনে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যে সেখানে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত না হওয়ায় ভেস্তে যায় সেটি। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে এক চিঠির মাধ্যমে শুক্রবারই জানিয়ে দেওয়া হয়, এ ধরনের বৈঠকের আয়োজন করে উচ্চশিক্ষা সংসদ। বিকাশ ভবনে সম্প্রতি সংসদের সভাপতির উপস্থিতিতে এ নিয়ে বিশদে আলোচনাও হয়েছে। তাই আচার্য-রাজ্যপালের এ রকম উদ্যোগের কোনও প্রয়োজন নেই। একান্ত যদি করতেই হয়, তবে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত বিধি মোতাবেক উচ্চশিক্ষা দফতর বা শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে সেই আমন্ত্রণ জানাতে হবে। সেই বিধি মেনে উপাচার্যদের কাছে আচার্যের তরফে চিঠি আসেনি। তাই কোনও উপাচার্যই রাজভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে হাজির হননি।
দীর্ঘ সময়ের বাগযুদ্ধের শেষে মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল
এদিকে আচার্য হিসাবে স্বাক্ষর না করেই সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি ফাইল শিক্ষা দফতরে ফেরত পাঠিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
২৪ ডিসেম্বর কর্মী-বিক্ষোভের জেরে যাদবপুরের সমাবর্তনে ঢুকতেই পারেননি ধনখড়। সে-দিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যের অনুপস্থিতিতে সেনেট-বৈঠক করে ২৮ জানুয়ারি সমাবর্তনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন কর্তৃপক্ষ।