বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সায়েন্স ক্যাম্পাসটি নিউটাউনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: সায়েন্স ক্যাম্পাসটি নিউটাউনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভবিষ্যতে নিউটাউনে নিয়ে যাওয়া হবে সায়েন্স ক্যাম্পাসটি।
একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য বলেন, “নিউটাউনে ভবন তৈরি হয়ে গেলে সেখানেই আমরা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়গুলি সেখানেই পঠপাঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। তিনি জানান, প্রস্তাবিত নতুন ভবনের জন্য ৫ একর জমিতে সীমানা এবং ভীত তৈরি করা হয়েছে। তার বিস্তারিত রিপোর্টও তৈরি করা হচ্ছে।
অর্থের জন্য বিস্তারিত রিপোর্টটি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। উদ্ভাবনী গবেষণা খাতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার।
পড়তে গিয়ে ছাদে উঠল কিশোরী, কী হল তারপর ?
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, নিউটাউনে স্থানান্তরিত হওয়ার পর রাজাবাজার এবং বালিগঞ্জ সায়েন্স ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। তবে কীভাবে, তা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব মূল কাজ শুরু করতে”।
স্থানান্তরিত করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাজাবাজার এবং বালিগঞ্জ ক্যাম্পাসে ভাল অবস্থায় নেই।
চলন্ত বাস থেকে পিছলে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু কিশোরের
এছাড়াও সল্টলেকের ন্যানো টেকনলজি এবং ন্যানো সায়েন্স ক্যাম্পাসও নিউটাউনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। সল্টলেকের ক্যাম্পাসটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আন্তর্জাতিক মানের গেস্ট হাউস করা হবে বলে জানান তিনি। তবে কাজের সময়সীমা নিয়ে কোনও কথা বলেন নি উপাচার্য। নিউটাউনের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে বিজ্ঞান বিভাগের ৩২ টি এবং ৮ টি প্রযুক্তি বিভাগ সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে পড়ানো হয় অঙ্ক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স, ইলেকট্রনিক সায়েন্স, কেমিস্ট্রি, রেডিও ফিজিক্স।
অন্যদিকে বালিগঞ্জে পড়ানো হয়, কৃষিবিজ্ঞান, উদ্ভিতবিদ্যা, জেনেটিক্স, ভুগোল, ভূ-বিদ্যা, মেরিন সায়েন্স, প্রাণীবিদ্যা, অ্যাটমোস্ফিয়ারিক সায়েন্স, মাইক্রোবাইলজি।