দূষণ কমাতে হাওড়ায় কন্টেনার টার্মিনাল তৈরির দাবি উঠল। তিরুপতি ভেসেল নামে একটি সংস্থার অধিকর্তা রাজীব আগরওয়াল পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, হাওড়ার পশ্চিম দিকে একটি কন্টেনার টার্মিনাল তৈরি হলে কলকাতার দিক থেকে আসা ট্রাকের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে। সংস্থার দাবি দূষণ কমাতে তারা রো-রো পরিষেবা চালু করেছে। এটার মানে রোল অন এবং রোল অফ পরিষেবা।
তবে এখনই টার্মিনাল তৈরির কোনও দরকার নেই বলেই জানালেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনিত কুমার। তাছাড়া ভারত- বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট এ এম আহমেদ মনে করেন এই টার্মিনাল তৈরির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বড় সমস্যা হতে চলেছে। তবে তিনি মনে করেন যদি রাজ্য সরকার চায় তাহলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। কলকাতার দূষণ ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে। সুপারিশ না মানায় রাজ্য সরকারকে জরিমানাও করেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
কালীপুজো ও দিওয়ালির পরেই ভয়াবহ দূষণে ছেয়ে গেল কলকাতার বাতাস
কলকাতা ও হাওড়ার বাতাসে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ‘ব্যর্থ' হয়েছে রাজ্য । এমনটাই মনে করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। আর এই মর্মে ৫ কোটি টাকার জরিমানাও দিতে হবে রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন রাজ্য সরকারের বক্তব্য গ্রিন ট্রাইব্যুনালে ঠিক মতো উপস্থাপিত হয়নি। সরকার কলকাতার বাতাসকে দূষণ মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর।
অন্যদিকে পরিবেশবীদ সুভাষ দত্ত বলছেন পরস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে আমরা ক্রমশ অন্তিম পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৪ সালে মামলা করেন সুভাষ। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই কমিটির সুপারিশ না মানাতেই জরিমানা হয়েছে রাজ্যের। সুভাষ মনে করেন এটা অন্তর্বর্তীকালীন জরিমানা। পরে আরও খারাপ খবর পাওয়া যেতে পারে।
দেখুন ভিডিও:
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)