২০১৯-এর নির্বাচন বিপর্যয়ের পর সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধি।
নয়াদিল্লি: রাজস্থান কংগ্রেসের বিক্ষোভ মেটার আগেই অভিনব বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কংগ্রেস সভানেত্রী। "রাহুল গান্ধিকে শীর্ষ পদে ফিরিয়ে আনো", এই শ্লোগানে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদরা। সেই তালিকায় নাম দেখালেন কপিল সিব্বল ও শশী থারুর। বৃহস্পতিবার সনিয়া গান্ধি দলের কৌশল রচনায় সংসদের দুই কক্ষের সাংসদদের বৈঠকৈ ডেকেছিলেন। সেখানেই এই স্লোগান ওঠে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি। আর শীর্ষপদে ফিরবেন না, এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পদত্যাগপত্রে। তারপর একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসে প্রবীণ বনাম নবীন দ্বন্দ্বে ফাটল চওড়া হয়েছে। যে তালিকায় শেষ সংযোজন মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। এই পরিস্থিতিতে দলের তরুণ মুখ রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী প্রচার জোরদার করতে উদ্যোগী কংগ্রেস শিবির। সেই উদ্যোগের সূত্র ধরে রাহুল গান্ধিকে ফের সভাপতি হিসেবে ফিরে পেতে এদিন সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা।
এই বৈঠকে সাংসদরা ছাড়াও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন কেসি বেণুগোপাল, ভূপিন্দর হুডারা। তারাই একদম নীচুস্তর থেকে কংগ্রেস আমূল বদলের পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও দলের প্রবীণ শিবিরের অন্যতম মুখ তথা গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ আহমেদ প্যাটেল প্রবীণ-নবীন মিশ্রণের পক্ষেই সওয়াল করেন।
যদিও এই মিশ্রণ একাধিক রাজ্যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে দলে। এমনটাই দাবি কংগ্রেস সাংসদদের।