This Article is From Jul 08, 2019

নন্দা দেবী পর্বতে আরোহনকারী দলের শেষ মুহূর্তের ছবি মিলল ক্যামেরায়

ক্যামেরার ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে কিভাবে গাইডের সঙ্গে পর্বতারোহীরা রৌদ্রজ্জ্বল দিনে একসঙ্গে দড়ি ধরে একটি বরফে ঢাকা পাহাড় চূড়ার দিকে এগোচ্ছেন

নন্দা দেবী পর্বতে আরোহনকারী দলের শেষ মুহূর্তের ছবি মিলল ক্যামেরায়

মৃত পর্বতারোহীদের দেহ উদ্ধারের সময় মেলে একটি খেলনা পেঙ্গুইনও

নয়া দিল্লি:

ক্যামেরায় ধরা থাকলো আন্তর্জাতিক পর্বতারোহী দলের ( Nanda Devi Climbers) শেষ মুহুর্তের হৃদয় বিদারক ছবি। হিমালয় পর্বতের নন্দা দেবী চূড়ায় ( Nanda Devi Peak) আরোহনের সময়ই ধস নামে পাহাড়ে ,আর তারপরেই পাহাড় চূড়া থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, ৪ জন ব্রিটিশ,২ জন আমেরিকান ও একজন অস্ট্রেলিয়ান পর্বতারোহী মিলে ভারতীয় এক গাইডকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন।একটা সরু জায়গা দিয়ে খুব ধীরে ধীরে সাবধানে এগোচ্ছিলেন তাঁরা।এরপরেই ক্যামেরার স্ক্রিন কালো হয়ে যায় ।“একটা বিরাট শব্দ শুনতে পাই আমরা। ভিডিওটি (Video) তারপরেই কালো হয়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়”, বলেন ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের মুখপাত্র বিবেক কুমার পাণ্ডে।“তাঁরা একটি অত্যন্ত দুর্গম পাহাড় চূড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন।তাঁদের শরীরে ভারে ওই পাহাড় চূড়ায় ধস নামে,”সংবাদসংস্থা এএইপিকে বলেন তিনি।

ক্যামেরাটি একেবারে শেষের পর্বতারোহীর কাছে ছিল তাঁর দেহও বাকিদের মৃতদেহের কাছেই বরফে প্রায় সমাধিস্থ অবস্থায় মেলে।

যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অষ্টম পর্বতারোহী,ব্রিটিশ নাগরিক মার্টিন মোরানের এখনও সন্ধান মেলে নি।

মার্টিন মোরান ছাড়াও ওই পর্বতারোহী দলে ছিলেন ব্রিটেনের জন ম্যাকলারেন, রুপার্ট হুইওয়েল এবং ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার রিচার্ড পেইন, মার্কিন নাগরিক এন্থনি সুদেক এবং রোনাল্ড বিমেল, অস্ট্রেলিয়ান রুথ ম্যাককেস এবং ভারতীয় গাইড চেতন পাণ্ডে।

“এই ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা মর্মাহত হয়ে পড়ি”,বলেন আইটিবিপির ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল যিনি ওই পর্বতারোহীদের দেহের খোঁজে বেরোন।

“এই ভিডিওটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে এই অভিযানে ঠিক কি ঘটেছিল”, সংবাদসংস্থাকে জানান তিনি।

“একেবারে বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মতো পর্বতারোহীদের শেষ মুহূর্তের ছবি ধরা পড়ে এই ভিডিওতে”,বলেন তিনি।

“জীবনের ঝুঁকি নিয়ে” ৬,১০০ মিটার উচ্চতা থেকে ওই দেহগুলিকে খুঁজে বের করা “অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল”, বলেন তিনি।

মোট ১২ জন পর্বতারোহী এই অভিযানে যোগ দেন, কিন্তু এই ঘটনায় ৪ জনকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান ওই আধিকারিক।

ওই এলাকায় প্রচণ্ড তুষারপাত শুরুর আগে ২৬ মে শেষ যোগাযোগ হয় ওই পর্বতারোহীদের সঙ্গে, ৩ জুন একটি সেনা হেলিকপ্টার ওই দেহগুলির সন্ধান পায়, কিন্তু সেগুলিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় তাঁরা।এরপরেই আইটিবিপি অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের একটি দলকে পাঠায় ওই লাশগুলিকে নিচে নামিয়ে আনতে।রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেহগুলি নামিয়ে আনা হয়েছে বলে দাবি করেন আইটিবিপির ডিরেক্টর জেনারেল এসএস দেসওয়াল।তবু ভয় না পেয়ে মানবিকতার খাতিরেই ওই দেহগুলি আনার কাজ করেন তাঁরা।

ওই মৃত পর্বতারোহী দলের কাছে একটি ছোট্ট খেলনা পেঙ্গুইনও মেলে যা পর্বারোহীদের আবেগের প্রতীক ছিল, তা দেখে অত্যন্ত কষ্ট অনুভব করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরও।

.