This Article is From Apr 27, 2020

করোনা নেগেটিভ পরিযায়ী শ্রমিকরা কি বাড়ি ফিরবেন? কেন্দ্রের উত্তর চাইল শীর্ষ আদালত

দেশব্যাপী লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে সাহায্য চেয়ে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তারই উত্তরে এই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।

করোনা নেগেটিভ পরিযায়ী শ্রমিকরা কি বাড়ি ফিরবেন? কেন্দ্রের উত্তর চাইল শীর্ষ আদালত

লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যাপারে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।

নয়াদিল্লি:

যে পরিযায়ী (Migrants) শ্রমিকরা করোনা (Coronavirus) নেগেটিভ, তাঁদের কি বাড়ি যেতে দেওয়া হবে? এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে এক সপ্তাহের সময় দিল শীর্ষ আদালত। করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশব্যাপী লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে সাহায্য চেয়ে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তারই উত্তরে এই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ পিটিশন দাখিলকারীদের পক্ষে আদালতে দাবি জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের কাছে একদিনের রেশন রয়েছে। তাঁরা মরিয়া হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছেন। যে শ্রমিকরা করোনা নেগেটিভ তাঁদের বাড়ি না যেতে দেওয়ার কারণ কী আমি বুঝতেই পারি না।''

এদিনের শুনানিতে তিন সদস্যের বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এনভি রমনা, সঞ্জয় কিশান কউল ও বিআর গাভাই। তাঁদের সঙ্গে প্রশান্ত ভূষণের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়।

“লকডাউনে চোরেরা অপরাধ করছে না”, বললেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে

বিচারপতি এসকে কউল বলেন, ‘‘আপন‌ার আমাদের উপরে বিশ্বাস নেই। আমরা কেন আপনার কথা শুনব? একটি রায়কে সব সময় সমালোচনা করা যায়।'' ভিডিও বৈঠকের মাধ্যমে হওয়া শুনানিতে তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রতিভূ নয়। আপনার আমাদের উপরে বিশ্বাস নেই।''

উত্তরে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘‘আমি কখনওই বলিনি আমার প্রতিষ্ঠানের উপরে বিশ্বাস নেই। আমি ভুল হতে পারি। কিন্তু এটা বহু অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মত যে, সরকার যা বলছে তা খতিয়ে না দেখেই গ্রহণ করছে আদালত।''

মাস্ক না পরার অভিযোগ, চেনে বেঁধে রাখা হল সিআরপিএফ কম্যান্ডোকে

তখন বিচারপতি কউল বলেন, ‘‘আপনি বলছেন আপনি ৩০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রয়েছেন। আপনি জানেন কোনও রায় অনুকূলে যায়, কোনওটা প্রতিকূলে। এই ধরনের কথা আপনার বলা উচিত নয়।''

তখন প্রশান্ত ভূষণ জানান, তাঁর আদালতের উপরে বিশ্বাসে কোনও খামতি নেই।

তিনি শীর্ষ আদালতকে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের চোখ বন্ধ করে রেখেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে। তখন সরকারি আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, একথা ঠিক নয়। সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে সচেতন। তিনি দাবি করেন, সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করছে।

.