নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের অন্যতম প্রধান মুখও বটে, শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য “কংগ্রেস যদি 2019-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে তৈরি”-র ব্যাপারে বলেন যে, প্রত্যেকেরই মতামত দেওয়ার অধিকার আছে।
“কিন্তু, ঘটনা হল, এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতির যা পরিস্থিতি, তাতে কংগ্রেসের পক্ষে কখনওই এককভাবে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়”। একটি বাংলা খবরের চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আজ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যে যুক্তফ্রন্ট গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা আঞ্চলিক দলের নেতারা, সেটিই এই দেশের “ভবিষ্যৎ”।
“অনেক আঞ্চলিক দলই বিভিন্ন রাজ্য থেকে দারুণভাবে উঠে আসছে। এই আঞ্চলিক দল নিয়ে গড়া যুক্তফ্রন্টই আগামীদিনে এই দেশের ভবিষ্যৎ। সমস্ত আঞ্চলিক দল যদি এক ছাদের তলায় চলে এসে লড়াই করতে পারে, এ দেশের জন্য তার থেকে ভালো আর কিছু হবে না”। বাংলা খবরের চ্যানেল জি-24 ঘন্টাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আজ তিনি এ কথা জানান।
কিন্তু, সেই ফ্রন্টের নেতৃত্ব কি তিনি দেবেন?
মমতা এই নিয়ে পরিস্কারভাবে কিছুই জানাননি।
প্রত্যেকেই একটা ‘যৌথ পরিবার’-এর মতো করে কাজ করব। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটাই করব। জানান তিনি।
মমতা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে আরজেডি, ডিএমকে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, তেলুগু দেশম ভালো ফল করবে।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস বা বিজেপি- কোনও দলই কর্নাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে মন্ত্রী দেবগৌড়ার দল সরকার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এমনকি, নিজেরাও সরকার গড়তে পারে।
“কংগ্রেসের দেবগৌড়ার সঙ্গে সখ্য বাড়ানো উচিত। তাতে তাদেরই ভালো”। বলেন মমতা।
রাহুল গান্ধীর মতামতকে খুব নম্রভাবে খণ্ডন করে দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক মহল একটি অন্য কারণ খুঁজে পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং তার বাইরেও অতি সুচারুভাবে ধীরে ধীরে একটি ক্যাম্পেনকে চালিত করা হচ্ছে, যার মূল বক্তব্য- “আসুন, এইবারে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার জন্য মাঠে নামি আমরা”। ক্যাম্পেনটি আপাতত চালাচ্ছে তৃণমূল সমর্থকেরা।
তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরও এর আগে বহু জায়গায় একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি।
ডিসেম্বরে দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ব্যাপারটি দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট যে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে রাহুলকেই তুলে ধরবে।
এই ব্যাপারটি বিশেষজ্ঞ মহলের চোখ এড়িয়ে যায়নি যে, মমতা নিজেও খুব সচেতনভাবেই রাহুলের সঙ্গে একটি দূরত্ব রচনা করে চলেন।
গত মার্চে তাঁর দিল্লি সফরের সময় মমতা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যান।
মিটিং সেরে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি ওই সময়ে জানিয়েছিলেন- “আমরা চাই, প্রতিটি রাজ্যে, বিজেপির বিরূদ্ধে মুখোমুখি লড়াই হোক। গোটা দেশের মানুষও সেটাই চায়। আমরা চাই আসন্ন কর্নাটক নির্বাচনে জয়ী হোক কংগ্রেস”।
“কিন্তু, ঘটনা হল, এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতির যা পরিস্থিতি, তাতে কংগ্রেসের পক্ষে কখনওই এককভাবে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়”। একটি বাংলা খবরের চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আজ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যে যুক্তফ্রন্ট গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা আঞ্চলিক দলের নেতারা, সেটিই এই দেশের “ভবিষ্যৎ”।
“অনেক আঞ্চলিক দলই বিভিন্ন রাজ্য থেকে দারুণভাবে উঠে আসছে। এই আঞ্চলিক দল নিয়ে গড়া যুক্তফ্রন্টই আগামীদিনে এই দেশের ভবিষ্যৎ। সমস্ত আঞ্চলিক দল যদি এক ছাদের তলায় চলে এসে লড়াই করতে পারে, এ দেশের জন্য তার থেকে ভালো আর কিছু হবে না”। বাংলা খবরের চ্যানেল জি-24 ঘন্টাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আজ তিনি এ কথা জানান।
কিন্তু, সেই ফ্রন্টের নেতৃত্ব কি তিনি দেবেন?
মমতা এই নিয়ে পরিস্কারভাবে কিছুই জানাননি।
প্রত্যেকেই একটা ‘যৌথ পরিবার’-এর মতো করে কাজ করব। দেশের জন্য যেটা ভালো হবে, সেটাই করব। জানান তিনি।
মমতা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে আরজেডি, ডিএমকে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, তেলুগু দেশম ভালো ফল করবে।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস বা বিজেপি- কোনও দলই কর্নাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে মন্ত্রী দেবগৌড়ার দল সরকার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। এমনকি, নিজেরাও সরকার গড়তে পারে।
“কংগ্রেসের দেবগৌড়ার সঙ্গে সখ্য বাড়ানো উচিত। তাতে তাদেরই ভালো”। বলেন মমতা।
রাহুল গান্ধীর মতামতকে খুব নম্রভাবে খণ্ডন করে দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক মহল একটি অন্য কারণ খুঁজে পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং তার বাইরেও অতি সুচারুভাবে ধীরে ধীরে একটি ক্যাম্পেনকে চালিত করা হচ্ছে, যার মূল বক্তব্য- “আসুন, এইবারে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার জন্য মাঠে নামি আমরা”। ক্যাম্পেনটি আপাতত চালাচ্ছে তৃণমূল সমর্থকেরা।
তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরও এর আগে বহু জায়গায় একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি।
ডিসেম্বরে দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই ব্যাপারটি দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট যে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে রাহুলকেই তুলে ধরবে।
এই ব্যাপারটি বিশেষজ্ঞ মহলের চোখ এড়িয়ে যায়নি যে, মমতা নিজেও খুব সচেতনভাবেই রাহুলের সঙ্গে একটি দূরত্ব রচনা করে চলেন।
গত মার্চে তাঁর দিল্লি সফরের সময় মমতা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যান।
মিটিং সেরে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি ওই সময়ে জানিয়েছিলেন- “আমরা চাই, প্রতিটি রাজ্যে, বিজেপির বিরূদ্ধে মুখোমুখি লড়াই হোক। গোটা দেশের মানুষও সেটাই চায়। আমরা চাই আসন্ন কর্নাটক নির্বাচনে জয়ী হোক কংগ্রেস”।
COMMENTS
Advertisement