আপনিও একবার দেখুন তো, ছবিতে কী দেখা যাচ্ছে তা ধরতে পারেন কিনা!
টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে কাঠের গুঁড়ির নীচে থেকে একটি পায়ের পাতা উঁকি দিতে দেখা যাচ্ছে। পায়ের পাতায় পাঁচটি আঙ্গুলও রয়েছে। আঙুলে নখও রয়েছে। তবে রঙটা তো মানুষ মানুষ নয়, প্রাণীরও কি এমন গায়ের রঙ হয়? নীল-ধূসর বর্ণের এই পা তাহলে কার? এমন একটি প্রশ্ন ঘিরেই তোলপাড় নেটিজেনদের একাংশ।
রবিবার ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেন ভারতীয় বন বিভাগের আধিকারিক সুশান্ত নন্দা। “আপনি কি এই প্রাণীটিকে শনাক্ত করতে পারবেন?” মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে ছবিটি শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন।
আপনিও একবার দেখুন তো, ছবিতে কী দেখা যাচ্ছে তা ধরতে পারেন কিনা!
রবিবার শেয়ার হওয়ার পরে, ছবিটিতে এক হাজারেরও বেশি ‘লাইক' এবং কয়েকশো মন্তব্য জমা পড়েছে।
একজন টুইটারেত্তি লিখেছেন, “এটা ভয়ঙ্কর দেখতে,” অন্য একজন লিখেছেন, “আমি এরম যে কিছু দেখেছি এক্ষুণি তা স্মৃতি থেকে মুছতে চাই"।
অনেকেই আবার অনুমান করার চেষ্টাও করেছেন এবং তাঁদের সকলেই লেঙ্গুর থেকে শুরু করে শিম্পাঞ্জি থেকে গরিলার আঙুল অবধি পর্যন্ত যেতে পেরেছেন –তবে সব কটাই ভুল।
কিছুক্ষণ পরে, সুশান্ত নন্দ কৌতূহলী মানুষদের উত্তেজনা প্রশমন করে আসল তথ্য খোলসা করেন। সুশান্ত জানান, ছবিটিতে আসলে এক ধরণের ছত্রাক দেখা যাচ্ছে। “এটি একটি ছত্রাক,” লিখেছেন তিনি, সঙ্গে সেই ওয়েবসাইটের লিঙ্কও শেয়ার করেছেন যেখানে এই ছত্রাকের বিবরণে লেখা রয়েছে ‘ডেড ম্যানস ফিঙ্গারস' (Dead Man's Fingers) বা জাইলারিয়া পলিমোরফা (Xylaria polymorpha)।
সায়েন্স ফ্রাইডের মতে, ছত্রাকটার এমন ভুতুড়ে নাম কারণ এক ঝটকায় দেখে মনে হচ্ছে যেন জঙ্গলের মধ্যে পাথরের ফাঁক দিয়ে মানুষের আঙুল বেরিয়ে রয়েছে। ডেড ম্যানস ফিঙ্গার সাধারণত দুই থেকে পাঁচটি শাখা একসঙ্গে ক্লাস্টার করে বৃদ্ধি পায়। বন এবং কাঠের অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। এটি সাধারণত ক্ষয়ে যাওয়া কাঠ এবং পচা গাছের কাণ্ড থেকে বৃদ্ধি পায়।
Click for more
trending news