தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Apr 04, 2020

আগামীকাল মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে কম্পিউটার, পাখা, এসি বন্ধ করার দরকার নেই; স্পষ্ট করল সরকার

"সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থাকে জনগণের সুরক্ষার্থে রাস্তার আলো চালু রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,” স্পষ্ট করে জানিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

আগামীকাল, অর্থাৎ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মোমবাতি জ্বালাতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানাল সরকার। ৯ মিনিটের জন্য মোমবাতি, প্রদীপের আলো জ্বালানোর (candlelight session) সময় কম্পিউটার, ফ্যান, এসি বন্ধ করার দরকার নেই বলেই স্পষ্ট করল সরকার। “অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এর ফলে বিদ্যুতের গ্রিডে অস্থিতিশীলতা দেখা দেবে এবং ভোল্টেজের ওঠানামা হতে পারে যাতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলির ক্ষতি হতে পারে। এই আশঙ্কা ভুল,” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় বিদ্যুৎ বিভাগ সমর্থ এবং স্থিতিশীল এবং চাহিদার ভারসাম্যহীনতা সামাল দিতে পর্যাপ্ত সমস্ত ব্যবস্থা এবং নিয়ম প্রস্তুত রয়েছে।"

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর আবেদন খুব সহজ, ৫ এপ্রিল রাত ৯ টা থেকে রাত ৯.০৯ অবধি কেবল বাড়ির আলো নিভিয়ে রাখতে হবে। কম্পিউটার, টিভি, ফ্যান, রেফ্রিজারেটর এবং এসি বা মতো রাস্তার আলো বন্ধ করার কোনও কথাই বলা হয়নি। কেবল বাড়ির আলো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।”

“হাসপাতাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন জনস্বাস্থ্য, পৌর পরিষেবা, অফিস, থানা, কারখানায় আলো জ্বলবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে কেবল আবাসন ও বাড়িঘরের আলো নেভাতে বলা হয়েছে। সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থাকে জনগণের সুরক্ষার্থে রাস্তার আলো চালু রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,” স্পষ্ট করে জানিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদি এই সপ্তাহেই একটি ভিডিও বার্তায়, রবিবার অর্থাৎ ৫ এপ্রিল ভারতবাসীদের তাদের ঘরের আলো বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি ৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় মোমবাতি, প্রদীপ এবং মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট ৯ মিনিটের জন্য জ্বালিয়ে রাখতেও অনুরোধ করেছেন।

এর আগে গত ২২ মার্চ রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন মোদি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যারা লড়ছেন সেই যোদ্ধাদের প্রশংসা করার জন্য নিজেদের বাড়ির বারান্দা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে বা থালা, ঘণ্টা কাঁসব বাজাতে বলেছিলেন মানুষদের। তবে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে মানুষজন থালা, ঘণ্টা, কাঁসর নিয়ে দলবেঁধে রাস্তাতেই নেমে পড়েন এবং মিছিলও করেন অনেকে।

Advertisement

এই ভিডিও বার্তাটি করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় ভাষণ এবং ‘জনতা কার্ফু' ডেকে হাততালি ও বাসন বাজিয়ে সংহতির সম্মিলিত বার্তা দেওয়ার পর দ্বিতীয় আহ্বান। মোদির দাবি, সারা বিশ্ব ভারতের উদাহরণ অনুসরণ করছে।

Advertisement