‘আইআইটি বম্বে'-র (IIT-Bombay) হস্টেল নিবাসীরা কোনও জাতীয়তা বিরোধী (Anti-National Activities) অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। ‘আইআইটি বম্বে'-র ডিন এক ইমেলে গতকাল একথা জানিয়ে দিয়েছেন সমস্ত পড়ুয়াকে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের ‘সমাজবিরোধী ক্রিয়াকলাপে' জড়িয়ে না পড়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি ‘জাতীয়তা বিরোধী' ক্রিয়াকলাপ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে ‘জাতীয়তা বিরোধী' তকমা এঁটে দিচ্ছে। সম্প্রতি সেই অভিযোগ নতুন মাত্রা পায় যখন বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমালোচকদের সমালোচনা করার সময় তাঁদের ‘জাতীয়তা বিরোধী' বলে অভিযোগ করেন।
CAA সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত কেরল বিধানসভা, "সহমত না হলেও পড়ছি...", বললেন রাজ্যপাল
১৫টি পয়েন্টই ২৮ জানুয়ারি থেকে লাগু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয় ওই ইমেলে।
বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন ব্যাডমিন্টন তারকা Saina Nehwal
এই মাসেই জেএনইউয়ে পড়ুয়াদের উপরে হামলার প্রতিবাদে ‘আইআইটি বম্বে'-র পড়ুয়ারা জমায়েত হয়েছিল ‘গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া'-র সামনে। এর আগে ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের উপরে পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদ করতেও তারা জড়ো হয়েছিল এখানে।
ওই হামলার অব্যবহিত পরেই ‘আইআইটি বম্বে'-র ফ্যাকাল্টিরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চত্বরে প্রতিবাদের অধিকারের সমর্থনে সরব হয়েছিলেন। ১৪১ জন ফ্যাকাল্টির স্বাক্ষর সমন্বিত চিঠি পাঠানো হয় প্রতিবাদ করে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।