মনোজ শোকিন নাঙ্গলোই বিধানসভার থেকে দু'বারের নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক
নয়াদিল্লি: পুত্রবধূকে (daughter-in-law) বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ (Rape) ও তার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের (Former BJP MLA) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মনোজ শোকিন (Manoj Shokeen) নাঙ্গলোই (Nangloi) বিধানসভার দু'বারে বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। পৈশাচিক এই ঘটনা ২০১৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মধ্যরাতের। বর্ষবরণের পার্টি সেরে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন পুত্রবধূ। স্বামীর রাতে বাড়ি না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক মনোজ (Manoj Shokeen) পুত্রবধূর সঙ্গে এই কুকির্তী করে বলে নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশের কাছে নির্যাতিতার দেওয়া বয়ান অনুযায়ী বর্ষবরণের রাতে শ্বশুরমশাই (Father-in-Law) সম্পূর্ণ মদ্যপ ছিলেন। রাত প্রায় দেড়টা হবে। ঘরে একাই ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাকে ঘরের দরজা খুলতে বলেন শ্বশুর মনোজ শোকিন (Manoj Shokeen)। প্রথমে তার গায়ে অশালীন স্পর্শ করায় তার প্রতিবাদ করেন পুত্রবধূ। চিৎকার করবো বললে, মেয়েটিকে বন্দুক দেখিয়ে তার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই গায়ের জোরে তাকে ধর্ষণ করে হয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতা পুত্রবধূর।
প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। পুলিশ জানিয়েছে, আইপিসি-র ৩৭৬, ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এফআইআর-য়ে পুলিশকে অভিযুক্ত বিধায়ক মনোজ শোকিনের (Manoj Shokeen) পুত্রবধূ জানিয়েছেন, ২০১৮-এর ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাপের বাড়ি থেকে স্বামী, ভাই ও আরও বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় বাড়ি না গিয়ে স্বামী তাকে পশ্চিম বিহার (Paschim Bihar) অঞ্চলের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়রা। পালন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ স্বামী সহ বাড়ি ফিরে আসেন শোকিনের ছেলে ও পুত্রবধূ। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে ফের বেরিয়ে যান বিধায়কের পুত্র। রাত দেড়টা নাগাদ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন পুত্রবধু।
অভিযোগ, এই সময়ই কথা বলবেন বলে ঘর খুলতে পুত্রবধূকে জোর করেন অভিযুক্ত বিধায়ক মনোজ শোকিন (Manoj Shokeen)। প্রথমে আশালীন আচরণ করেন তিনি। প্রতিবাদ করলে পুত্রবধূকে বন্দুক দেখিয়ে তার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে পুত্রবধূকে শ্বশুর ধর্ষণ করেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নির্যাতিতার দাবি, বিয়ের পর পরই তিনি শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে সাকেত কোর্টের (Saket Court) ক্রাইম এগেনস্ট ওমেন সেলে গার্হস্থ হিংসার মামলা রজু করেছিলেন। সেখানেই নির্যাতিতার বাবা, মা-কে হেনস্থার শিকার হতে হয়। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই এদিন সাকেত থানায় যান নির্যাতিতা। সুরক্ষা কর্তা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিযেছেন বলে দাবি নির্যাতিতার। সেখানেই বাবা, মাকে সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান মেয়েটি।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, এই মামলায় তদন্ত এগোচ্ছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।