Read in English
This Article is From Jul 10, 2018

চিনে নিন পোল্যান্ডের 'নিউটন'কে

মজার কথা জেরি আগেও অনেকবার এভাবেই নানা রকমের সমস্যায় পড়েছেন।  টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে বেধেছে নানা ধরনের গোলমাল।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড (c) 2018 The Washington Post

বিড়ালের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র!

নিউটনকে মনে আছে ? না না বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে এক বাঙালি বিজ্ঞানীর পোষ্যের।  গিরিডির বাড়িতে প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর এই বিড়ালের খ্যাতিও কম নয় কোনও দিক থেকে। বিভিন্ন গল্পে নিউটনের উপস্থিতিও মনে রাখার মতো।  এবার খোজঁ মিলল সেরকমই আরও এক প্রফেসরের।  পোল্যান্ডের বাসিন্দা ইতিহাসবিদ জেরি তারগালস্কি একটি ডাচ খবরের চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।  কথা বলছিলেন তাঁর দেশের  প্রধান বিচারপতিকে বলপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার দেওয়া নিয়ে। দেশ দুনিয়ার অনেক বিষয় সম্পর্কে কথা বললেও ঘরে থাকা দীর্ঘদিনের সঙ্গী বিড়ালের জন্য একটি শব্দও খরচ করছিলেন না জেরি। আর তাই বোধহয় অভিমানে সোজা প্রফেসরের মাথায় ওঠার ইচ্ছা হয় পোষ্যের! 

গুরুগম্ভীর বিষয়ে নিয়ে কথার মাঝে এরকম একটা ঘটনা  ঘটতে পারে তা কারও মাথায়ও আসেনি।  তাই বিড়াল প্রফেসরকে "বিরক্ত'  করতে শুরু করার পরও সাংবাদিক থেকে শুরু করে বাকিদের ব্যাপারটা বুঝে উঠতে  বেশ কিছুটা সময় লাগে। কিছুক্ষণ বাদে ক্যামেরার পেছন থেকে কেউ লঘু স্বরে কিছু একটা বলে। তৎপর হয়ে ওঠেন অধ্যাপক। বিড়ালকে মাথা থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেন।কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছিল। আর বিড়ালও নামতে মোটেই রাজি নয়।  বড়সড় চেহারার জেরির শরীর তার  কাছে যেন হিমালয়ের মতো।তা নামানোর চেষ্টা হলেও তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হচ্ছিল না।  কখনও হাতে উঠে যাচ্ছে কখনও মাথার পেছনে।  বেশ অনেকটা সময় চলার পর নামল বিড়াল। গোটা ঘটনায়  সকলেই অবাক।  কথাই সরছে না কারও মুখ থেকে।  পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন জেরি নিজেই।  উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চাইলেন।  তার কথা রেখে সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু সম্প্রচার করা হয়নি। কিন্ত তাতে কী, সেটি ভাইরাল হয়েছে নেট বিশ্বে।  নিজের মেধা দিয়ে অন্যদের কাত করা প্রফেসরের এ অবস্থা দেখে কারওর আর  হাসি ধরে না ! 

কিন্ত মজার কথা জেরির আগেও অনেক বার এভাবেই নানা রকমের সমস্যায় পড়েছেন।  টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে বেধেছে নানা ধরনের গোলমাল। জলাশয়ের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে জলে পড়েছেন অনেকবার। শুধু তাই নয় মাত্র বছর খানেক আগে লাতভিযার একটি শহরের মেয়র ফেসবুকে নাগরিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। সে সময় তাঁকেও পড়তে হয়েছিল এক কালো বিড়ালের পাল্লায়।  তিনি অবশ্য ব্যাপারটাকে হালকা ভাবেই নিয়েছিলেন। পরে ফেসবুকে লিখেও ছিলেন, অফিসে বিড়াল থাকলে এরকমই হয়! 

এখন দেখে নিনি টিভি ইন্টারভিউতে ঘটে যাওয়া এরকমই কিছু ঘটনা।   

                   
    

  .  


(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement