সিপিআই (এম) তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি
নিউ দিল্লি: সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের দ্বন্দ্ব নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে গতকাল রাত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধর্না শুরু করেছেন তাকে ‘বিশুদ্ধ নাটক' বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। গতকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা শুরু করেছেন তা বিজেপি ও তৃণমূলের মিলিত নাটক বলেই মনে করছেন সীতারাম।
ইয়েচুরি ট্যুইটে লিখেছেন, “চিট ফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা কয়েক বছর ধরেই জনসমক্ষ্যে প্রকাশ পেয়েছে, কিন্তু মোদি সরকার নিজেই এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে এতদিন ধরে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করেছিলেন। এখন ৫ বছর পর এটি বস্তুত একটি নাটক এবং বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বও দুর্নীতি ঢাকতে নাটক শুরু করেছে।”
সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশঃ সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কেন্দ্র
সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) একটি দল কলকাতা পুলিশের প্রধান রাজীব কুমারের বাড়িতে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেট্রো চ্যানেলে প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই অফিসাররা দু'টি প্রতারণা মামলা বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করতেই রাজীব কুমারের বাড়িতে হাজির হন। কলকাতা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সিবিআই কর্মকর্তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
২০১৩ সালের সারদা ও রোজ ভ্যালি কাণ্ডে অনুসন্ধানের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেন রাজীব কুমার। ওই মামলা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই তদন্তে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হয় রাজীব কুমারকে। প্রশ্ন করার জন্য বেশ কয়েকটি সমন পাঠানো হয় তাঁকে।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়
ইয়েচুরি বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূলের কলকাতায় এই নাটকটি কোনও নীতির জন্য লড়াই নয়, বরং তাঁদের দুর্নীতি লুকাতে রাস্তায় নামা। সিপিআই (এম) কেন্দ্র এবং রাজ্যে এই অগণতান্ত্রিক, দুর্নীতিবাজ, সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং করবে।”
সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান এম নাগেশ্বর রাও অভিযোগ করেছেন, চিট ফান্ড দুর্নীতিতে আদালতের তদন্তের আদেশের বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ ফোন করেন মমতাকে। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান আখিলেশ যাদব, ডিএমকের এম কে স্ট্যালিন, টিডিপির এন চন্দ্রবাবু নাইডু তাঁর সমর্থনে টুইট করেছেন। আরজেডির তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন সোমবার শহরে আসতে পারেন তিনি।