সিবিআইকে রাজীব একটি ইমেলে জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে রয়েছেন।
প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার (Rajeev Kumar) সারদা তদন্তে (Sarada Scam) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের (CBI) তলব সত্ত্বেও হাজিরা দেননি। এরপর সোমবার সিবিআই আধিকারিকরা নবান্নে গিয়ে মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিলেন। সকাল ১০.৪০-এ দু'জন সিবিআই আধিকারিক নবান্নে যান। মুখ্য সচিব মলয় দে ও স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন তাঁরা। নবান্নের এক বর্ষীয়ান আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ওই চিঠিতে সিবিআই জানতে চেয়েছে রাজীব কুমার এক মাসের ছুটিতে গিয়েছেন কী কারণে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চেয়েছে রাজীব আবার কবে কাজে যোগ দেবেন। ওই চিঠির সঙ্গে রাজীবের গ্রেফতারির উপর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশও যুক্ত করা হয়েছে।
সারদা কেলেঙ্কারিতে শনিবার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক সিবিআইয়ের
শুক্রবার সিবিআই তাদের দফতরে রাজীব কুমারকে হাজিরা দেওয়ার নতুন নোটিস দেয়। সিআইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা রাজীব এরপরও সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেননি।
নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিবিআই তাদের চিঠিতে সোমবার দুপুর দু'টোর সময় রাজীবকে দেখা করতে বলেছে।
এর আগে রবিবারই সিবিআই আধিকারিকরা চিঠি পৌঁছে দিতে নবান্নে যান।
আধিকারিকদের জানানো হয়, রবিবার ছুটির দিন। তাঁরা যেন সপ্তাহের কাজের দিনে আসেন। ডিজিপি বীরেন্দ্রকেও দু'টি একই চিঠি দেন।
Saradha Case: সিবিআইয়ের সামনে হাজিরার জন্য আরও সময় চাইলেন রাজীব কুমার
রাজীব সিবিআইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এক মাসের ছুটিতে রয়েছেন। ওই ইমেলে তিনি জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে রয়েছেন।
গত শুক্রবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁকে নোটিস পাঠানো আটকাতেও আদালতে আপিল করেছিলেন রাজীব। সেই আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে আদালত। এই মুহূর্তে সিআইডির অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেলের পদে রয়েছেন রাজীব। সারদা মামলায় তিনি সিটের সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের হাতে ওই তদন্তভার ন্যস্ত করে। তার আগে তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল তাতে ছিলেন রাজীব।
২৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি সারদা কাণ্ড। বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হন এই চিট ফান্ডের দ্বারা প্রতারিত হয়ে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)