This Article is From Jul 17, 2019

বেছে বেছে আমাকেই সমন পাঠাচ্ছে সিবিআই: হাইকোর্টে বললেন রাজীব কুমার

৩০ মে হাইকোর্টের আবকাশকালীন বেঞ্চ কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাজীব কুমারকে সুরক্ষা দেয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য তৎকালীন বিধানগরের কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে বিশেষ সিট গঠন করে রাজ্য সরকার।(ফাইল)

কলকাতা:

সিটের ১২১ জন তদন্তকারীর মধ্যে বেছে বেছে তাঁকেই ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই অভিযোগ করলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার(Rajeev Kumar)। সিবিআইয়ের আগে, সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য তৎকালীন বিধানগরের কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। সেই সিটে ১২১ জন আধিকারিক ছিলেন। রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে বলেন, দিনের পর দিন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে গঠিত সিটের প্রধান হিসেবে তদন্ত দেখভাল করেছেন রাজীব কুমার(Rajeev Kumar)। তা সত্ত্বেও,  ২০১৭-এর অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকার বিবেচনা করে নি সিবিআই।

চলতি সপ্তাহেই রাজীব কুমারের মামলার শুনানি হাইকোর্টে

বিচারপতি মধুমন্তি মিত্রের এজলাসে রাজীব কুমারের(Rajeev Kumar) আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি সিবিআইয়ের অন্যতম সাক্ষী হতে পারতেন, যদিও তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সাড়ে তিন বছর তাঁর ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও সে নিয়ে কোনও বিবেচনা করা হয়নি। বর্তমানে সিআইডির এডিজি পদে কর্মরত রাজীব কুমার। তদন্তে সহযোগিতার জন্য মে তে তাঁকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। সেই নোটিশ খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০১৩-এ যখন চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সামনে আসে, সেই সময় বিধাননগরের কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার(Rajeev Kumar)। সেই সময় দিনের পর দিন তদন্তের জন্য গঠিত সিটের কাজকর্ম দেখাশোনা করেছেন তিনি।

২২ জুলাই পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না রাজীব কুমারকে,জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

Advertisement

২০১৪-এর মে, সারদাসহ সমস্ত চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সিটের ১২১জন আধিকারিকের মধ্যে ছিলেন রাজীব কুমার(Rajeev Kumar), তাঁকে হেনস্থা করতে বারবার, কেন তাঁকে বেছে নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিষ্ময় প্রকাশ করেন রাজীব কুমারের আইনজীবী।

রাজীব কুমারের আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৪-এর নভেম্বরে তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এক টাকারও হদিশ পায়নি সিবিআই। তাঁর আরও দাবি, এই কেলেঙ্কারিতে সেবি, আরবিআই এবং আইটি আইনও লঙ্ঘিত হয়েছে।

Advertisement

৩০ মে হাইকোর্টের আবকাশকালীন বেঞ্চ কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাজীব কুমারকে সুরক্ষা দেয়। পরে সেই সুরক্ষার মেয়াদ ২২ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

সিবিআইয়ের নোটিশ নিয়ে রাজীব কুমারের আবেদনের অগ্রিম শুনানির আর্জি খারিজ

Advertisement

সারদাকাণ্ডের তদন্তে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করার জন্য রাজীব কুমারকে(Rajeev Kumar) নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে রাজীব কুমারের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁকে শিলং-এ ৩৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই, পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, “প্রতিহিংসা” চরিতার্থ করতে এবার রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

পাশাপাশি তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের দায়ের করা সাতটি চার্জশিটের মধ্যে কোনওটিতেই অভিযুক্ত বা সাক্ষী হিসেবে নাম নেই রাজীব কুমারের(Rajeev Kumar)।

Advertisement

১৭ মে রাজীব কুমারকে গ্রেফতারির থেকে সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।

জানুয়ারিতে রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সেদিনিই সিবিআই আধিকারিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সারদা কাণ্ডঃ রাজীব কুমারকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করল সিবিআই

রাজীব কুমারের(Rajeev Kumar) হয়ে মাঠে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ ফেব্রুয়ারি, গ্রেফতারি বা কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া থেকে রাজীব কুমারকে সুরক্ষা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কোনও নিরপেক্ষ জায়গায় তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিয়ে, তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য রাজীব কুমারকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। ৯ ফেব্রয়ারি থেকে পাঁচদিন শিলং-এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজীব কুমারকে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement