প্রতিক্রিয়া নিতে সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তা পায়নি এনডিটিভি।
হাইলাইটস
- সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
- অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নাগেশ্বর রাও-র কর্ম জীবন ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে
- 2015 সালে নাগেশ্বর রাও সিবিআইতে যোগ দেন
নিউ দিল্লি: দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থাকে ‘ স্বচ্ছ 'করার লক্ষ্য নিয়ে সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দু'জনেই আপাতত ছুটিতে আছেন। অপেক্ষাকৃত তরুণ আধিকারিককে সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এনডিটিভি জানতে পেরেছে সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নাগেশ্বর রাও-র কর্ম জীবন ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়। তথ্য বলছে 2015 সালে নাগেশ্বর রাও সিবিআইতে যোগ দেন। তখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অধিকর্তা ছিলেন অনিল সিনহা। আর সে সময় সংস্থার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটয়ের প্রধান ছিলেন অমিতাভ সিং ধিলন। নাগেশ্বর রাও সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তিনি। সেখানে দুর্নীতির কারণ উল্লেখ করে নাগেশ্বরকে সিবিআইতে অন্তর্ভুক্ত করতে বারণ করেছিলেন অমিতাভ। তবে তৎকালীন অধিকর্তা বা কেন্দ্রীয় সরকার সেই প্রস্তাব শোনেনি। তখন থেকেই কাজ শুরু করেন নাগেশ্বর।
চেন্নাইয়ের একটি নির্মাণ সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার জমি কেনে। সেই জমির লেনদেন বাজারদরের থেকে অনেক কমে হয় বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়। এতকিছুর পরও চেন্নাইয়ে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম সামলানোর দায়িত্ব পালন করে নাগেশ্বর কোনও ব্যবস্থাই নাকি নেননি। আর এই কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা হিসেবে নাগেশ্বর রাওয়ের নাম ঘোষণার সমালোচনা করেন ডিএমকে-র নেতা স্টালিন।
এছাড়া সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা হিসেবে কাজ করার সময় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটিতেও তাঁর নামে রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানে বলা হয় একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির ডায়েরিতে নাম থাকা 70 জন আয়কর অধিকর্তার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া তদন্ত বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন নাগেশ্বর। বিজেপির অভিযোগ ধৃত ভন্ডারি গান্ধি পরিবারের জামাতা রবার্ট বদড়ার ঘনিষ্ঠ। পাশাপাশি নিজের আয়করের রিটার্ন জমা দেওয়া নিয়েও অভিযুক্ত হয়েছেন নাগেশ্বর।
এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের কথা টুইট করে জানিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আর এ সমস্ত অভিযোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া নিতে সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এনডিটিভি। কিন্তু প্রতিক্রিয়া মেলেনি।