রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সারদা কাণ্ডের ফাইনাল চার্জ শিট তৈরির আগে বহু প্রমাণ নষ্ট করেছেন তিনি।
নয়াদিল্লি: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের (Rajeev Kumar) গ্রেফতারির রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI)। কলকাতা হাইকোর্ট রাজীব কুমারের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, রাজীব কুমারের মামলাটি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার মতো নয়। ২৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি সারদা কাণ্ড। বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হন এই চিট ফান্ডের দ্বারা প্রতারিত হয়। রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সারদা কাণ্ডের ফাইনাল চার্জ শিট তৈরির আগে বহু প্রমাণ নষ্ট করেছেন তিনি। সারদা মামলায় রাজ্য সরকার গঠিত সিটের সদস্য ছিলেন রাজীব। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের হাতে ওই তদন্তভার ন্যস্ত করে। তার আগে তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল তাতে ছিলেন রাজীব। সেই সময় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ শেখ হাসিনার
হাইকোর্ট জানিয়েছে, যদি সিবিআই প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করে তাহলে ৫০,০০০ টাকার দু'টি পৃথক জামিনে তিনি তৎক্ষণাৎ মুক্ত হতে পারবেন। কলকাতা ছাড়ার জন্যও আদালতের অনুমতি প্রয়োজন নেই রাজীব কুমারের। আদালত জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সিবিআইকে তদন্তে সাহায্য করছেন রাজীব কুমার। তাই এটি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার মামলা নয়।
আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজীব কুমারকে সমন পাঠালে যেন ৪৮ ঘণ্টার নোটিস দেওয়া হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুরের জেলা ও দায়রা আদালত। গত ২৭ মে থেকে রাজীব কুমারকে দেখা করার জন্য বহু নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি, সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল রাজীব কুমারের বাড়ি ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। তাঁরা রাজীব কুমারকে ওই চিট ফান্ড কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই শিলংয়ে রাজীবকে জেরা করে সিবিআই। তদন্ত এগোতে তারপরও তিনি বেশ কয়েকবার তলব পেয়ে হাজির হয়েছেন সল্টলেকের সিবিআই দফতরে।
দেখুন ভিডিও