This Article is From Jan 27, 2019

সরিয়ে দেওয়া হল ছন্দা কোছর ও ভিডিওকন কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো সিবিআই অফিসারকে

লেনদেনের ফলে তাঁর পরিবার সবথেকে বেশি ‘উপকৃত’ হয়েছে, এই অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের অক্টোবর মাসেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ছন্দা কোছর।

সিবিআইয়ের মূল অভিযোগ রয়েছে ছন্দা কোছর, তাঁর স্বামী দীপক কোছর ও ভিডিওকন কর্তা বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধে

নিউ দিল্লি:

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান ছন্দা কোছর ও তাঁর স্বামী দীপক কোছর এবং ভিডিওকন প্রধান বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধে তদন্তের মূল দায়িত্বে ছিলেন সিবিআইয়ের যে অফিসার। তাঁর বদলি হয়ে গেল গত বৃহস্পতিবার। এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার আগেরদিনই বদলি হয়ে গেল তাঁর। সূত্র মারফৎ এই কথা জানতে পেরেছে এনডিটিভি। সিবিআই অফিসারের বদলির ব্যাপারে সরব হয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর কথায়, ভারতে অপরাধের নিরিখে শাস্তির পরিমাণ এই কারণেই এত কম। কংগ্রেসের দাবি, ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ করে তদন্তের গতিপ্রকৃতি বদলে দেওয়ার কাজে সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কংগ্রেসের দাবি, সরকার নিজেদের ‘স্যুট-বুট পরা' বন্ধুদের বাঁচাতেই ব্যস্ত।

ব্যাঙ্কিং এবং নিরাপত্তা বিষয়ক দুর্নীতি সেলের অফিসার সুধাংশু ধর মিশ্রকে বৃহস্পতিবার তাঁর এতদিনের স্থান থেকে সরিয়ে অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার রাঁচির দফতরে নিয়ে যাওয়া হল।

প্রসঙ্গত, ছন্দা কোছর, দীপক কোছর এবং বেণুগোপাল ধুতদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার আগেরদিনই বদলি হয়ে যান তিনি।

বেণুগোপাল ধুতকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ দেয় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। অভিযোগ, প্রায় নিজে ‘দাঁড়িয়ে থেকে' এই ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ছন্দা কোছর।

আরও পড়ুনঃ ‘ব্যক্তিগত সফরে' দেশের এই সমুদ্র-শহরে গেলেন সোনিয়া-রাহুল

যার বদলে দীপক কোছরের সংস্থাতে বেশ কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন বেণুগোপাল ধুত।

এই লেনদেনের ফলে তাঁর পরিবার সবথেকে বেশি ‘উপকৃত' হয়েছে, এই অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের অক্টোবর মাসেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ছন্দা কোছর।

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলতেই থাকে।

শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি এই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য রয়েছেন আমেরিকায়।

মুখ খোলেন কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদিও। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেছে, তা ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাফাল দুর্নীতির তদন্ত হওয়ার সামান্য আঁচ পেয়ে সরিয়ে দেওয়া হল সিবিআই অধিকর্তাকে। আর, এখন, সরকারের ‘স্যুট-বুট পরা' বন্ধুদের আর্থিক অনিয়মের জন্য বেকায়দায় ফেলতে পারে বুঝতে পেরে বদলি করে দেওয়া হল সিবিআইয়ের এক দক্ষ ও সৎ অফিসারকে”।  

 

.