हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 01, 2019

উন্নাওয়ের নিগৃহীতাকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা

সুপ্রিম কোর্ট মেয়েটিকে শুক্রবারের মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Posted by

১২টার মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের দেখা করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

Highlights

  • উন্নাও কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি মামলাই নয়াদিল্লিতে সরানোর নির্দেশ
  • নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
  • বড় অস্বস্তিতে পড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকার
নয়াদিল্লি:

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দিল উন্নাও (Unnao) ধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি মামলাই লখনউ থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই নির্দেশে বড় অস্বস্তিতে পড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সুপ্রিম কোর্ট মেয়েটিকে শুক্রবারের মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। পাশাপাশি মেয়েটি ও তার আইনজীবীকে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী বা সিআরপিএফের সুরক্ষা দেওয়া হবে। রবিবারে দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছে ওই কিশোরী। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চের তরফে সিবিআইকে জানানো হয়েছে রবিবারের দুর্ঘটনার মামলা সাত দিনের মধ্যে শেষ করতে। পাশাপাশি ধর্ষণের মামলাটিসহ চারটি মামলা বিচার শুরু হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজন পড়লে আরও সাত দিন সময় দেওয়া হতে পারে।

সর্বোচ্চ আদালত এদিন দুপুর ১২টার মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের দেখা করার নির্দেশ দিয়েছিল। ধর্ষণ মামলাটি এবং রবিবারের গাড়ি দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পেশ করা বলা হয়েছিল তাঁদের। প্রসঙ্গত, রবিবার একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছে ওই নিগৃহীতা কিশোরী।

উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রশ্নে নিরুত্তর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

Advertisement

ওই দুর্ঘটনার দু'সপ্তাহ আগেই নিগৃহীতা কিশোরী ও তার পরিবারের তরফে একটি চিঠি লেখা হয় ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে। তাতে বলা হয়েছিল, তাদের পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে। ওই চিঠি পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। চারদিন আগেই ওই কিশোরী গুরুতর জখম হয় দুর্ঘটনায়। তাঁর দুই কাকিমা দুর্ঘটনায় মৃত। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার চক্রান্ত করেছেন মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার।

উন্নাওয়ের নিগৃহীতার গাড়ি দুর্ঘটনায় ৭ নং অভিযুক্ত এক বিজেপি নেতা

Advertisement

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার তরফে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চকে অনুরোধ করা হয় বিষয়টি শুক্রবারে দেখা হোক। উন্নাও মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিবিআই আধিকারিকরা দিল্লিতে নেই, একথা জানান তিনি। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সিবিআই প্রধান সমস্ত তথ্য টেলিফোনে জেনে নিয়ে তা আদালতকে জানাতে পারেন।

Advertisement

ওই দুর্ঘটনার দু'সপ্তাহ আগেই নিগৃহীতা কিশোরী ও তার পরিবারের তরফে একটি চিঠি লেখা হয় ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে। তাতে বলা হয়েছিল, তাদের পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে। ওই চিঠি পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। চারদিন আগেই ওই কিশোরী গুরুতর জখম হয় দুর্ঘটনায়। তাঁর দুই কাকিমা দুর্ঘটনায় মৃত। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার চক্রান্ত করেছেন মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার তরফে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চকে অনুরোধ করা হয় বিষয়টি শুক্রবারে দেখা হোক। উন্নাও মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সিবিআই আধিকারিকরা দিল্লিতে নেই, একথা জানান তিনি। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সিবিআই প্রধান সমস্ত তথ্য টেলিফোনে জেনে নিয়ে তা আদালতকে জানাতে পারেন।

কিশোরীর চিঠিতে বলা হয় ৭ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেঙ্গারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি তাদের পরিবারকে হুমকি দেয়। চিঠিতে আদালতকে অনুরোধ করা হয় ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও যেন পুলিশ মামলা রুজু করে।

Advertisement

বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে মামলাটির ধীরগতির চলনের সপক্ষে ওই চিঠিকে দেখা হচ্ছে। আগেই দলের চার বারের বিধায়ক সেঙ্গারের প্রতি নরম মনোভাব প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছিল।

রবিবার ওই কিশোরী তাঁর দুই কাকিমা ও আইনজীবীর সঙ্গে উন্নাও থেকে রায়বেরিলি যাচ্ছিল। তখনই একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারে তাদের গাড়িটিকে। সেই ট্রাকটির নম্বর প্লেট কালো কালিতে মুছে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ট্রাকের চালক ও মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিবিআই এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। গাড়ি দুর্ঘটনার পরদিনই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অভিয়ুক্ত কুলদীপ সেঙ্গার, তাঁর ভাই মনোজ সিংহ সেঙ্গার ও আরও আটজনের বিরুদ্ধে।

নিগৃহীতার অভিযোগ ২০১৭ সালে কুলদীপের বাড়িতে চাকরির সন্ধানে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন কুলদীপ। কয়েক মাস পরে অভিযোগ জনসমক্ষে আনলে তার বাবাকে প্রচণ্ড মারধর করেন কুলদীপের ভাই অতুল। পুলিশ আহত ব্যক্তির শুশ্রুষার বন্দোবস্ত না করে তাঁকেই গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য অতুল সেঙ্গারকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement