হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবার মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন সিবিআইয়ের আধিকারিক
- তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার সঙ্গে যুক্ত মানিক মজুমদার
- সংবাদ পত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহারের জন্য মানিকের স্বাক্ষর দরকার
কলকাতা: সিবিআইয়ের নজরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি। মমতা ঘনিষ্ঠ মানিক মজুমদারের বাড়িতে গিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলার সঙ্গে যুক্ত মানিক মজুমদার। সংবাদ পত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহারের জন্য মানিকের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। সংবাদ পত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহারের জন্য মানিকের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। মানিককে ছবি বিক্রি সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, রাজ্যে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বোমের কারখানা খোলা হচ্ছে। চিত্রকরের ছবি এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি চিটফান্ড মালিকরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে কেনে। একবার পরিবর্তন করুন। চিটফান্ডের টাকা ফিরিয়ে দেব। ওঁর দলের সাংসদরা এর মধ্যে জড়িয়ে থাকেন তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রাজ্যে একটিও আসন পাবে না বিজেপি, বীরভূমের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই অভিযোগের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা আসলে অর্ধশিক্ষিত। ওঁরা আমার আঁকা ছবি নিয়ে যে দাবি করেছেন, তা যদি প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। গেরুয়া শিবিরকে সতর্ক করে বলেন, বিজেপির যে সব নেতা ও কর্মীরা অবৈধ কাজকর্মে যুক্ত, সেই অবৈধ কাজগুলির বিরুদ্ধে তিনি যখনতখন তদন্ত শুরু করে দিতে পারেন। এর আগে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনও বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেন সিবিআইকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন তিনি খবর পেয়েছেন তাঁরা বিজেপি বিরোধী সমাবেশ করছেন বলে দিল্লিতে তদস্ত সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। মমতার পাশাপাশি অন্য নেতারাও একই অভিযোগ করেন।
গোয়েন্দা সংস্থা শুধু কেন্দ্রেরই নেই, আমাদের কাছেও কিন্তু সিআইডি আছে, হুঁশিয়ারি মমতার
মানিক মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের কয়েকঘন্টা পরেই কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সংসদ থেকে টাকা নিই নি, রাজ্য সরকার থেকেও টাকা নিই না। আমার বইয়ের রয়্যালটি থেকেই আমি যা টাকা পাই”।