Read in English
This Article is From Aug 29, 2019

নারদ কাণ্ডে ৩ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যে অধ্যক্ষের অনুমতি চাইল সিবিআই: সূত্র

CBI ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বিষয়টি অনুমোদনের আবেদন জানিয়েছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

Narada sting operation: ৩ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যে অধ্যক্ষের অনুমতি চাইল সিবিআই: সূত্র

নয়া দিল্লি:

২০১৬-র নারদ স্টিং অপারেশন (Narada sting operation) কাণ্ডে ৩ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যে অধ্যক্ষের অনুমতি চাইল সিবিআই। জানা গেছে সৌগত রায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি চেয়েছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (CBI)। নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে অনেক নেতাকেই ঘুষ নিতে দেখা যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিবিআই সূত্র মারফৎ খবর, সংস্থাটি অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে (TMC MP) পদক্ষেপ করার বিষয়টি অনুমোদনের জন্যে আবেদন জানিয়েছে। বাংলার মন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।

"আমরা এখনও অনুমোদন পাইনি। একবার এটা পেয়ে গেলে আমরা নারদা মামলায় উপরোক্ত চারজনকে আসামি হিসাবে উল্লেখ করে প্রথম চার্জশিট দাখিল করব," এনডিটিভিকে জানান সিবিআইয়ের একজন প্রবীণ আধিকারিক।

নারদকাণ্ডে তৃতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ এসএমএইচ মির্জাকে

Advertisement

২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের নাম ওই চার্জশিটে উল্লেখ করা হবে না বলেই সূত্র জানিয়েছে। তবে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাবে বলেই খবর।

২০১৪ সালে, নারদ নিউজের প্রধান কার্যনির্বাহী ম্যাথু স্যামুয়েল একটি স্টিং অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন এবং সেই স্টিং অপারেশনে দেখা যায় ওই ব্যবসায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাকেই অর্থের প্রলোভন দিচ্ছেন। এই ঘটনাই "নারদ" কেলেঙ্কারী হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

Advertisement

২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত ওই ভিডিও ক্লিপগুলিতে তৃণমূল নেতাদের ঘুষ নিতে দেখা যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

Narada case: নারদ মামলায় তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

Advertisement

এই বছরের শুরুর দিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চালানোর সময় ক্ষমতাসীন বিজেপি বারবার বাংলার ক্ষমতাসীন দলকে "নারদ ও সারদা (চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি)" তিরে বিদ্ধ করেছিল।  লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র দুর্দান্ত ফল দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে যায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন পায় গেরুয়া দল। মনে করা হচ্ছে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি আরও  তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয় তবে রাজ্যে আরও বড় ধাক্কা খাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement