এর আগে টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে। এরপর মঙ্গলবার ফের তাঁর সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। তবে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এখনই আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এর আগে সোমবার সারা দিন ধরেই শিলঙের সিবিআই দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সকাল দশটা নাগাদ কুণাল দপ্তরে পৌঁছে যান। ঘণ্টা খানেক বাদে এসে পৌঁছন রাজীব।সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় আর কুণাল দপ্তর ছাড়েন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ। দপ্তর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কুণাল বলেন ডাক পেয়ে তদন্তে সাহায্য করতে এসেছিলাম। এবার কলকাতা ফিরব।
ডিএমকে প্রধান স্টালিনকে নিমন্ত্রণ করতে চেন্নাই উড়ে গেলেন অম্বানিরা
এদিকে রাজীব জানান, সিটের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও সারদা তদন্তে তাঁর তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না। বেশির ভাগ তদন্ত থানাই করেছে। শুধু তাই নয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার দাবি করেন তৎকালীন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ-ই তদন্তের কাজ বেশি দেখভাল করতেন। এদিনও দু'জনকে মুখোমুখিফোন করেছিলাম বসিয়ে জেরা করা হয়। কয়েকটি বিষয়ে দু'জন দু'রকম কথা বলেন। কিন্তু কেউ সংঘাতের পথ ধরেননি। রাজীব একবার কথোপকথনের রেকডিং থামিয়ে দিয়ে কুণালের বক্তব্য সত্য কিনা জানতে পরীক্ষা করার অনুরোধ করেন। সিবিআই বলে কুমারের উপরেও সেই এক পরীক্ষা করা হবে।
এই তদন্ত নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আলোচনা চলছে। এরই মাঝে চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখার কথা বলেন, কুণাল। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিতে এখন গিয়ে সোমবার শিলংঙ থেকে কুণাল ফেসবুকে লিখেছেন চিটফান্ড কাণ্ডে তদন্তের অঙ্গ হিসেবে কিছু ঘটনা ঘটছে। দয়া করে এর সঙ্গে জড়িয়ে রাজনীতিকে দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন কুণাল। তাঁর দাবি তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেগুলি আগেই করা প্রয়োজন ছিল। অনেক দেরি হয়েছে। কিন্তু তবু যে এই কাজগুলো হচ্ছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যসভার এই প্রাক্তন সাংসদ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)