This Article is From Feb 04, 2019

মমতার পাশে রাহুল গান্ধী, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা, সমর্থন ওমর আবদুল্লা থেকে কেজরিওয়ালেরও

চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে একাধিকবার রাজীব কুমারকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রতিবাদে সন্ধ্যাতেই রাজীব কুমারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন তিনি।

মমতার পাশে রাহুল গান্ধী, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা, সমর্থন ওমর আবদুল্লা থেকে কেজরিওয়ালেরও

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীদের নিয়ে জনসভা করার জন্যই এটা করা হল(ফাইল চিত্র)

কলকাতা:

রবিবার সূর্য অস্ত যেতেই আরও জমে উঠল সানডে সাসপেন্স। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার সমালোচনায় মুখর হন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তরিঘরি ছুটে যান পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে। এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার সমালোচনায় সরব হন তিনি।ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন তিনি।

এদিকে, এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।তিনি লেখেন, “আজ রাতে আমি মমতাদির সঙ্গে কথা বলেছি, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা তাঁর পাশে দাঁড়াব বলেছি।ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির নির্মম আক্রমণের অংশ বাংলার ঘটনা।সমস্ত বিরোধী এককাট্টা হয়ে এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাস্ত করবে”।

মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মমতা, রাজীব কুমার চলে এলেন ধর্না মঞ্চে

কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় মুখর ওমর আবদুল্লা থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করেন ওমর আবদুল্লা। তিনি লেখেন,

"রাজনৈতিক যন্ত্র হিসাবে সিবিআইয়ের অপব্যবহার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে, মোদী সরকার সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে"। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো দুঃখজনক জায়গায় পৌঁছেছে বলে ট্যুইট করেন তিনি।

সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশঃ সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কেন্দ্র

ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব হন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সপা নেতা অখিলেশ যাদব।ট্যুইটে তিনি লেখেন, “বিজেপি সরকারের শোষণ এবং সিবিআইকে রাজনৈতিক অপব্যবহারের কারণে, সংবিধান এবং মানুষের স্বাধীনতা বিপন্ন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনাকে পুর্ণ সমর্থন করছি, নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে এককাট্টা বিরোধী এবং জনগণ”।

সিবিআইয়ের সঙ্গে সংঘাত প্রশ্নে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে জড়ালেন মমতা

ট্যুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন টিডিপি নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।ট্যুইট করে তিনি লেখেন, "কীভাবে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ প্রতিষ্ঠানগুলিকে শেষ করে দিচ্ছে, এটা তারই উদাহরণ"।

কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিনহাও।ট্যুইট করে তিনি লেখেন, “গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী।এখন তিনি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে শেষ করছেন। জেগে ওঠো এবং খুব দেরী হওয়ার আগেই একে থামাও”।

সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে তোপ তেগেছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও

 

বিজেপির বিরুদ্ধে “সাংবিধানিক আঘাত” হানার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।

বিরোধী নেতাদের সমালোচনার পাল্টা ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।বিরোধী নেতার ভূমিকাকে তিনি গণতন্ত্রের হ্ত্যা বলে মন্তব্য করেছেন।ট্যুইটে তিনি লেখেন,

“লজ্জাজনক নৈরাজ্য, গণতন্ত্রের হত্যা!! পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে রেড করতে যাওয়া সিবিআই প্রতিনিধি দলকে বাধা, মারধর, করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।২০১৪ থেকে সিবিআই তদন্ত নিয়ে বলা হচ্ছে।এটা কোনও রাজনৈতিক হতাশা নয়,”।

.