রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়ি যান সিবিআইয়ের জনা চল্লিশেক আধিকারিক।
হাইলাইটস
- রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র
- তিনি বলেন রায়ের পর নাটক শেষ করে মমতাকে ঢোক গিলতে হল
- আমরা আগেই বলেছি দেশের সংবিধান রক্ষা করা আমাদের কাজঃসম্বিত
নিউ দিল্লি: সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, "এ রায়ের পর নাটক শেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢোক গিলতে হল। আমরা আগেই বলেছি দেশের সংবিধান রক্ষা করা আমাদের কাজ। আর আমরা সেটা করবো। এই রায় থেকে মমতার আসল চেহারা প্রকাশ্যে চলে এলো। আদতে এই রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুখে এক বিরাট বড় থাপ্পড়। একই সঙ্গে রাজনীতির যে পন্থা মমতা নিয়েছিলেন তাও ধাক্কা খেয়েছে"। সম্বিতের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার আগেই ধর্না প্রত্যাহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ পাশে থাকলেও একসময়ে রাজীবের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা
গোলমালের সূত্রপাত রবিবার। সেদিন সন্ধ্যায়, কলকাতা কমিশনারের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের জনা চল্লিশেক আধিকারিক। নিরাপত্তারক্ষীদের তারা বলেন, কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। কলকাতা পুলিশের দাবি সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে কোন কাগজপত্র ছিল না। শুধু তাই নয়, পুলিশের দাবি, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বলেন তাঁরা গুপ্ত অপারেশন সারতে এসেছেন, তাই তাঁদের আটকানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দু'পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়। ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না রাজীবকে। তবে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। এরপর দু'পক্ষই নিজেদের জয় দেখছে।
সুপ্রিম নির্দেশে শুধু মমতাই নৈতিক জয় দেখতে পারেন, কটাক্ষ স্মৃতির
সম্বিতের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এমন বক্তব্য শুনে শুধু মমতাই খুশি হতে পারেন। শুধুমাত্র তিনিই এটাকে নৈতিক জয় হিসেবে দেখতে পারেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মোদী মন্ত্রিসভার এই সদস্য বলেন "পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে । সেটা মাথায় রেখেই নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে কলকাতার কমিশনারকে"।