কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার
নিউ দিল্লি: তাঁকে নিয়ে উত্তাল রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিকমহল। সিবিআই লাউডন স্ট্রিটে তাঁর বাসভবনে রবিবার হানা দেওয়ার পর সিবিআই কর্তাদের বাড়ির ভিতর ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর তাঁদের কার্যত ধাক্কা মারতে মারতে থানায় নিয়ে যান কলকাতা পুলিশের কর্তারা। পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নামঞ্চে পৌঁছে যান স্বয়ং রাজীব কুমারও। কিন্তু কে এই রাজীব কুমার? ১৯৮৯ এর ব্যাচের উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের এই আইপিএস অফিসার কেরিয়ারের শুরুর দিন থেকেই সৎ ও নির্ভীক পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত। তাঁর বাবা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের চান্দোসীর এক কলেজের অধ্যাপক।
মমতা সিবিআই সংঘাত: লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভের প্রসঙ্গ তুলল বিজেপি
রাজীব কুমার পড়াশোনা করেছেন এম এম কলেজ থেকে। ওখান থেকে পাশ করেই সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। সফল হন। আইপিএস জীবনের প্রায় শুরুর দিন থেকেই তিনি রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গতে। এর আগে ছিলেন নদীয়ার পুলিশ সুপার। ২০১৬ সালে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের জায়গায় তিনি আসেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার হিসেবে।
২০১৩ সালে চিটফান্ড কেলেঙ্কারী মামলায় রাজ্য সরকার যে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল, তার নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার।
সারদার মালিক সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সঙ্গিনী দেবযানীকে তাঁর নেতৃত্বেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।