রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সারদাকাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে অন্যতম অভিযুক্ত বলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি রাজীব কুমার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে ফেলতে পারেন। গতকালের ঘটনার পর আজ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হবে।
মমতার মঞ্চে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী সকলেই উপস্থিত হচ্ছেন। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় এই ধর্মতলাতেই আন্দোলন করতেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মনেই তাজা হচ্ছে সেই স্মৃতি।
কলকাতার ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়েছে সংসদে। তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের মতো কয়েকটি দল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং গোটা পরিস্থিতির দায় চাপিয়েছেন রাজ্য সরকারের উপরেই।
পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা – মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কটাক্ষ করে বলেন সবকিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে এই পুলিশ আধিকারিক অনেক কিছু জানেন বলে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।
যে যাই বলুক না কেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যখন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমি রাস্তায় নামিনি কিন্তু এখন সংবিধান আক্রান্ত।
গোলমালের শুরু হয় রবিবারে সন্ধ্যায়। সেদিন ‘আগাম না জানিয়ে' রাজীব কুমারের বাড়ি যায় সিবিআই। তাদের আটকায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সিবিআই আধিকারিকদের আটক করে শেক্সপিয়ার সরণি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাজীবের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিশ্বসেরা। তাঁর দক্ষতা এবং সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায় না।
কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘আচরণ'কে হাতিয়ার করে ধর্না দিয়ে কার্যত বিজেপির সঙ্গে স্মমুখ সমরে অবতীর্ণ হয়েছেন মমতা।
এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি তৃণমূল প্রচারের কাজে বাধা দিচ্ছে। অন্য নেতাদের সঙ্গে বিজেপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
মমতার অভিযোগ ২৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ আয়োজন করেছেন বলেই তাঁকে নিশানা করছে বিজেপি। এর আগে শনিবার রাজ্যে এসে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন এখন রাজ্যে ট্রিপিল টি ছাড়া কোনও কাজ হয় না। ট্রিপিল টি মানে তৃণমূল টোলবাজি ট্যাক্স।
লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে এভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় বিরোধী দলগুলির সমর্থন পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।