This Article is From Feb 06, 2019

আপনার ধর্নাকে গান্ধীর 'সত্যাগ্রহ'-এর সঙ্গে একাসনে বসাবেন না, মমতাকে তোপ সোমেনের

বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন তাঁরা চান চিটফান্ড কেলেঙ্কারী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গতি ত্বরান্বিত হোক।

আপনার ধর্নাকে গান্ধীর 'সত্যাগ্রহ'-এর সঙ্গে একাসনে বসাবেন না, মমতাকে তোপ সোমেনের
কলকাতা:

ফের সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারী নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস আক্রমণ করল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন তাঁরা চান চিটফান্ড কেলেঙ্কারী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গতি ত্বরান্বিত হোক। তিনি তার সঙ্গে এই কথাটিও জানান যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এই কেলেঙ্কারীর ‘দোষী'দের আগলে রেখেছেন, তাতে তাঁর সমালোচনা না করে কেউ যদি চুপ করে থাকে তাহলে তাকে ‘অন্যায়' বলতে তিনি দু'বার ভাববেন না। রবিবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে সিবিআই হানার পর সেই সন্ধেতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরু করে দেওয়াকেও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

রাজীব কুমারকে জেরা করার তারিখ চূড়ান্ত করছে সিবিআই

সোমেন মিত্র'র কথায়, উনি এই ধর্নাকে ‘সত্যাগ্রহ' বলছেন বটে, তবে, মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর এই ‘নাটকে পরিপূর্ণ' ধর্নাকে কোনওভাবেই এক আসনে বসানো যায় না। “এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর তদন্ত করা উচিত সিবিআই-এর। এই ঘটনার দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি হওয়া উচিত। হাজার হাজার আমানতকারী এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর ফল ভুগছে এত বছর পরেও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই দোষীদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন বাংলার মানুষের কথা বিন্দুমা্ত্র না ভেবে, তাই আমরা আজ পথে নামতে বাধ্য হয়েছি”, একটি জনসভা থেকে এই কথা বলেন সোমেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আসলে রাজ্য সরকারের গালে কড়া থাপ্পড়: সম্বিত

“মহাত্মা গান্ধী তো সত্যের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। আর, এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনৈতিক ও বেআইনি কাণ্ডকে আপনি কীভাবে ‘আইনের নাম' দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী সত্যাগ্রহ করতে চান, করুন। ধর্নামঞ্চে বসতে চান, বসুন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহের সঙ্গে নিজের সত্যাগ্রহের তুলনা করবে না দয়া করে। এটাই আমাদের অনুরোধ”, বলেন তিনি।সিবিআই-এর কর্তাদের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করার বদলে ‘লুকিয়ে পড়া'র জন্য রাজীব কুমারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

আজ পাশে থাকলেও একসময়ে রাজীবের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা

তিনি বলেন, "উনি সিবিআই-এর থেকে পালাচ্ছেন কেন? মানুষ তখনই পালায়, যখন সে কোনও অপরাধ করে। সিবিআই তো আমাকেও ডেকেছিল। আমি তাদের জানিয়েছিলাম, তারা যখন আমাকে ডাকবে, আমি ঠিক উপস্থিত থাকব। কারণ, তাদের সংস্থাটিকে নিয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানজনক ধারণাই পোষণ করি"।

.