রবিবার থেকে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন মমতা।
কলকাতা: বালুরঘাটে সভা করতে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর হেলিকপ্টারকে অবতরণের অনুমতিই দেয়নি রাজ্য সরকার। যোগী আদিত্যনাথ আর কোনও উপায় না দেখে টেলিফোনেই বক্তৃতা দেন সভার জন্য। যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনায় মুখর হয় বিজেপির রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় কমিটিও। কারও কারও মতে, রাজীব কুমারের বাড়িতে রবিবার সিবিআই হানার নেপথ্যেও রয়েছে এই কারণ। এর জবাবে মঙ্গলবার ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে যখন বৈঠক করতে গিয়েছিলাম, আমাকে থাকার জন্য কোনও অতিথিশালাও দেওয়া হয়নি। বিজেপি সরকার রয়েছে মহারাষ্ট্রে। বিজেপির শরিক নীতিশ কুমার সরকার চালান বিহারে। মমতার কথায়, এত সমালোচনা তখন কোথায় ছিল!
তিনদিনের মাথায় ‘সত্যাগ্রহ' প্রত্যাহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী
“বিহার এবং মহারাষ্ট্রে মিটিং করতে গিয়েছিলাম আমি। জেনে রাখুন আপনারা, আমাকে কোনও গেস্ট হাউজে থাকারও অনুমতি দেওয়া হয়নি ওখানে”, সংবাদসংস্থা এএনআই'কে বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পুরুলিয়াতে সভা করতে যান যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসন জানায়, এইদিনও এই সভা নিয়ে বিজেপির বানানো কাগজপত্রে বেশ কিছু গাফিলতি ছিল। এই দিন অবশ্য আর আকাশপথে আসার চেষ্টাই করেননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সড়কপথেই গাড়ি করে তিনি পৌঁছে যান সভাস্থলে।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন? কী বলছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা
তাঁর বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো ‘কচুকাটা' করেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, কলকাতায় বসে যিনি ধর্নামঞ্চ থেকে প্রতিবাদ করছেন, তাঁর মূল লক্ষ্য হল, প্রধানমন্ত্রী হওয়া। এবং, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষকে ‘খেপানো'।
তিনি আরও বলেন, উনি তো দুর্নীতিগ্রস্থ পুলিশ অফিসারকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন! আদালতও জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতেই হবে। তিনি কি আদালতের সঙ্গে সহযোগিতা করতেই চান না? চাইলে এমন নাটক করে যাচ্ছেন কেন? দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করতেই হবে।
লাল ডায়েরি সম্পর্কে একী বললেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন!
মঙ্গলবার সকালে সিবিআই এখন কোনওভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না রাজীব কুমারকে, এই কথা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেওয়ার পর মমতা বন্দযোপাধ্যায় এই রায়কে তাঁদের ‘নৈতিক জয়' বলে দাবি করেন। তবে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের শিলং-এ চিটফান্ড কেলেঙ্কারী সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিতে হবে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে, এই কথাও আজ সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।