সিবিআই হানার ‘প্রতিবাদ’-এ ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিউ দিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না সমর্থন পেল প্রতিবেশি রাজ্য ওড়িশা থেকেও। বিজু জনতা দলের নেতা সস্মিত পাত্র সোমবার বললেন, ভারতের গণতন্ত্র বহু পুরনো। আমাদের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিশ্বের বহু প্রথম সারির দেশেও আলোচনা হয়। সেই গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তাঁদের আরও বেশি করে সতর্ক হওয়া উচিত। ওড়িশাতেও এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে আচমকা সিবিআই হানা দিয়েছিল। এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশ অপেক্ষা করছে এই মহা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের জন্য। তার আগে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এমন ধরপাকড় খুব কাজের কথা নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধিত করার জন্য যদি এগুলো ঘটে থাকে, তবে তার নিন্দা অবশ্যই করা উচিত।
ধরনা, বিক্ষোভের মাঝেই পুলিশকে সম্মান প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী
রবিবার বিকেলে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা। সেখানে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার পর রীতিমত আটক করে থানায় নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। সিবিআইয়ের দুটো দফতরও ঘিরে ফেলে পুলিশ। সিবিআই অফিসারদের কার্যত ধাক্কা মারতে মারতে গাড়িতে তোলে পুলিশ। তারপর রাতে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার ‘প্রতিবাদ'-এ ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন নাটকীয় ও চরম উত্তেজনার মোড়কে ঢাকা ঘটনাপ্রবাহ শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না অতি প্রবীণ রাজ্যবাসীও। পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে বসে কথা বলতে চেয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা। তাতে বাধা দেওয়া হয় তাঁদের।
বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন আই পি এস অফিসার ভারতী ঘোষ
উত্তেজনার পারদ চড়ছিল শনিবার থেকেই। চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর তদন্তের জন্য স্বয়ং পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই, এমন খবর শুনেই নড়েচড়ে বসেছিলেন সকলে।
রবিবার রাত আটটার পর ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তাঁকে সমর্থন করতে আরম্ভ করেন দেশের প্রায় সকল বিরোধী নেতা। সমর্থন ও ব্যঙ্গের জোয়ারে ভেসে যায় সোশ্যাল মিডিয়াও। রবিবার রাতে টুইট করে ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন বলেন, গণতন্ত্রের ঘোর অন্ধকারের দিন আজ। গণতন্ত্র বাঁচাতে ফাসিস্ত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লড়াই মনে রাখবে গোটা দেশ।