Rewari Gang-Rape Case: ধৃত নিশু ফোগত পুরো ধর্ষণের ঘটনাটির পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউ দিল্লি: হরিয়ানার প্রাক্তন সিবিএসই শীর্ষস্থানাধিকারীর ধর্ষণকাণ্ডে (Haryana CBSE Topper's Rape Case) তিনজন অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে শেষমেশ গ্রেফতার করল পুলিশ। স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ধৃত নিশু ফোগত ধর্ষণের ঘটনাটির পরিকল্পনা করেছিল এবং একজন চিকিৎসককেও ডেকে এনেছিল অপরাধ দৃশ্যটিতে। স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (SIT) প্রধান নাজনিন ভাসিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনও বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে। প্রসঙ্গত, ওই দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করে। অন্যদিকে রবিবার সকালে, ওই ধর্ষিতা তরুণীকে (Haryana CBSE Topper's Rape Case) প্রথমবার দেখতে যাওয়া দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল যার জমিতে ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল, তাকেও।
“ধৃত চিকিৎসক ওই ধর্ষণের ঘটনার পর অকুস্থলে গিয়েছিল। সে জানত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবু, কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। এছাড়া, কয়েকটি প্রমাণের সাহায্যে আমরা জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তি নিজেও ঘটনাটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। যদিও এই বিষয়ে আরও ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন। তারপরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে”, বলেন নাজনিন ভাসিন।
অভিযোগকারিণী (Haryana CBSE Topper's Rape Case) তার অভিযোগে জানিয়েছিল, তার গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিল সে। তখনই তিনজন অল্পবয়সী যুবক একটি গাড়ি করে এসে তাকে অপহরণ করে একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনজনে মিলে ধর্ষণ করে তাকে। তারপর রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় ওই ধর্ষিতাকে বাসস্ট্যান্ডে ফেলে দিয়ে যায় তারা। তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সে।
ওই মাঠটিতে সেই সময় আরও কয়েকজন কাজ করছিল। মাঠে ধর্ষণ হচ্ছে জানার পর তারাও সেই ধর্ষণে লিপ্ত হওয়ায় উদ্যত হয়। ওই তরুণী জানায়, প্রত্যেক ব্যক্তিই তার গ্রামের বাসিন্দা।
সিবিএসই পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল ওই তরুণীকে (Haryana CBSE Topper's Rape Case) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তার বাবা জানিয়েছিলেন, আট থেকে দশ জন মিলেও ধর্ষণ করতে পারত তাঁর কন্যাকে।