हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 22, 2018

পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের ধর্ম, বর্ণ, জাত জানতে চাইল কেন্দ্র

ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মোবাইল নম্বর আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করানো নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ, তারপর সেই নির্দেশের ওপর সুপ্রিম কোর্টের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির পর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে বহু জল। তবু, ভবি ভোলবার নয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

Highlights

  • দশ লক্ষ পেট্রোল পাম্প কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য চাইল কেন্দ্র।
  • ওই তথ্যের মধ্যে জাতি, ধর্ম ও বর্ণও থাকতে হবে।
  • ডিলাররা অভিযোগ জানিয়েছে তৈল সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে।
নিউ দিল্লি:

সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য এই দেশে কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে তরজা চলছে বছরখানেক ধরে। তা নতুন কিছু নয়। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মোবাইল নম্বর আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করানো নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ, তারপর সেই নির্দেশের ওপর সুপ্রিম কোর্টের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির পর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে বহু জল। তবু, ভবি ভোলবার নয়। তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন নতুন নির্দেশাবলী আসারও যেন শেষ নেই  কোনও। এবার লক্ষ্য দেশের 10 লক্ষ পেট্রোল পাম্প কর্মী। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে তাদের কাছে নির্দেশ এসেছে ধর্ম ও বর্ণ সংক্রান্ত বিভিন্ন স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বন্ধে কেন্দ্রকে অবগত করার ব্যাপারে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, একটি বিশেষ দক্ষতা উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই পূরণ করতে হবে এইসব তথ্য। যদিও, পেট্রোল পাম্পের কর্মী ও ডিলাররা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ব্যক্তিগত তথ্যগুলি কেন্দ্রের হাতে তুলে দিতে তাঁরা কোনওভাবেই বাধ্য নন। প্রয়োজনে তাঁরা আদালতের দারস্থ হবেন।

ডিলারদের অভিযোগ, তাঁদের ‘সংযত’ থাকার জন্য হুমকি দিচ্ছে তৈল সংস্থাগুলিও।

Advertisement

এনডিটিভির হাতে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি এসেছে। যে চিঠিটি লেখা হয়েছিল চলতি বছরের জুন মাসের 6 তারিখে। দেশের তিনটি সরকারি তৈল সংস্থা হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড এবং ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে লেখা চিঠিটি পাঠানো হয় গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা 59000 ডিলারকে। যেখানে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয় যে, তাঁদের পেট্রোল পাম্পে কাজ করা সমস্ত কর্মচারীর ব্যক্তিগত তথ্য সরকারের কাছে জমা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষার স্বীকৃতির জন্য ওই তথ্যাবলীর প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিটিতে। যেখানে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলি জানানোর পরেই কর্মচারীদের হাতে স্বীকৃতির শংসাপত্রটি তুলে দেওয়া হবে। যা ‘ভবিষ্যতে নিজেদের পেশায় উন্নতি করার কাজে লাগবে’।

যদিও, দক্ষতা বিচার করার জন্য কেন বর্ণ, জাত, ধর্মের মতো বিষয়গুলি জানার প্রয়োজন, তার কোনও ব্যাখাই দেওয়া হয়নি ওই চিঠিটিতে।  

Advertisement

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।     

Screenshot of the online form asked to be filled up

 

 

 

Advertisement