Coronavirus: লকডাউন চলা সত্ত্বেও ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে হাজারেরও মানুষের শরীরে
হাইলাইটস
- ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন আরও বাড়ানোর জল্পনা উড়িয়ে দিল কেন্দ্র
- ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই, জানিয়েছে সরকার
- যদিও লকডাউনের মধ্যে দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
নয়া দিল্লি: "সমস্ত গুজব ও মিডিয়া রিপোর্ট" -কে উড়িয়ে দিয়ে মোদি সরকার জানালো ২১ দিনের লকডাউন (Coronavirus Lockdown) পর্বকে আরও বেশ কিছুদিনের জন্যে বাড়ানো হতে পারে এই ধরণের সমস্ত জল্পনা "ভিত্তিহীন"। "বিভিন্ন গুজব এবং মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার # লকডাউন আরও বাড়িয়ে দেবে। মন্ত্রি পরিষদের সচিব এই ধরণের কোনও খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে এই ধরণের রটনা পুরোপুরি ভিত্তিহীন", সোমবার জানিয়েছে সরকারি সংবাদ মুখপাত্র প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআইও জানিয়েছে যে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবাও সোমবার সকালে এই জাতীয় সমস্ত রকমের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। "এই জাতীয় খবর দেখে আমি অবাক হয়েছি, আপাতত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই", জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম শীর্ষ এই আধিকারিক।
করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বয়ং দেশবাসীকে হাত জোড় করে এই ক'দিন ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন।
তবে লকডাউন চলার মধ্যেই গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হয়েছে, এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারেরও উপর ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর।
করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় রোগীর মৃত্যু
এদিকে লকডাউন পরিস্থিতির জেরে স্তব্ধ গোটা ভারত। চলছে না ভারতীয় রেল সহ অন্যান্য পরিবহণ। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণে ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার জানা গেছে, অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন সামগ্রী পরিবহণেও ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র। রবিবারই রাজ্যগুলোকে পাঠানো চিঠিতে এই বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। একই নিয়ম প্রযোজ্য কেন্দ্রশাসিত এলাকাতেও।
২১ দিনের লকডাউনে দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, ওষুধ, মুদি সামগ্রী সংবাদপত্র পরিবহণ ও বিক্রিতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকাভুক্ত এই সামগ্রী। এবার স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য যেমন সাবান, হ্যান্ড-ওয়াশ, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট যেমন পরিবহণ ও সরবরাহ করা যাবে; তেমন চার্জার, ব্যাটারি,দন্ত মাজন, শিশুদের ডায়পার, মহিলাদের ন্যাপকিনের মতো গৃহ-সামগ্রী পরিবহণ ও বিক্রিতে ছাড় মিলেছে।
লকডাউনে মাছে-ভাতে বাঙালির জন্যে এবার অনলাইনেই মাছ
পাশাপাশি রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে দুঃস্থ, পরিযায়ী শ্রমিক ও গৃহহীনদের পাশে দাঁড়াতে আবেদন করেছ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁদের জন্য ত্রাণ ও খাওয়ারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।