আজ এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে।
হাইলাইটস
- ঠিক দু’সপ্তাহ আগে অলোক বর্মাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় কমিটি
- খাড়গে ছাড়া বাকি দু’জনেই অলোককে সরানোর পক্ষে ছিলেন
- আগের বৈঠকে প্রধান বিচারপতির বদলে ছিলেন বিচারপতি একে সিক্রি
নিউ দিল্লি: মাস তিনেক বাদে পূর্ণ সময়ের অধিকর্তা পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দ সংস্থা সিবিআই । অলোক বর্মাকে অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আজ নতুন প্রধান ঠিক করবে উচ্চপর্যায়ের কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবাসনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিয়ে তৈরি এই কমিটি সংস্থার নতুন প্রধানকে বেছে নেবে। ঠিক দু'সপ্তাহ আগে অলোক বর্মাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় কমিটি। খাড়গে ছাড়া বাকি দু'জনেই অলোককে সরানোর পক্ষে ছিলেন। তবে সে সময় প্রধান বিচারপতি নিজে এই কমিটিতে ছিলেন না। তাঁর জায়গায় ছিলেন বিচারপতি এ কে সিক্রি। অলোক বর্মা সম্পর্কিত একটি মামলা শুনছেন বলে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু এবার তিনি থাকছেন। নতুন প্রধান কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সূত্রের খবর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ ক্যাডারের আইপিএস অফিসারদের মধ্যে ১২ জনের নাম বাছা হয়েছে। এর মধ্যে থেকেই পরবর্তী প্রধানকে বেছে নেওয়া হবে।
এই ১২ জনের মধ্যে শিবানন্দ ঝায়ের নাম আছে। ১৯৮৩ সালের গুজরাট ব্যাচের এই অফিসার এখন সে রাজ্যের ডিজিপি। এছাড়া বিএসএফের অধিকর্তা রজনীকান্ত মিশ্র, সিআইএসএফের অধিকর্তা রাজেশ রঞ্জন, এনআইএ-র ডিজি ওয়াই সি মোদী এবং মুম্বই পুলিশের কমিশনার সুবোধ জয়সওয়ালের নামও আছে।
কার অভিজ্ঞতা বেশি তা নিয়ে সংঘাত দেখা দিলে শিবানন্দ ঝাকেই দায়িত্ব নিতে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় আছে। মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন শিবানন্দকে আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার পদে নিয়োগ করেন।
একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে গুজরাটের ডিজিপি পদ খালি হয়ে গেলে সেখানে রাকেশ আস্থানাকে পাঠানো হতে পারে। ‘ছুটিতে থাকা' সিবিআইয়ের এই স্পেশাল ডিরেক্টরের সঙ্গে অলোক বর্মার সংঘাত ঘিরেই দেশের এক নম্বর গোয়েন্দা সংস্থায় সমস্যা তৈরি হয়।
এনআইএ-র ডিজি ওয়াই সি মোদীও পদের দাবিদার। সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। তাছাড়া গুজরাট দাঙ্গার তদন্তেও ছিলেন তিনি।