This Article is From Apr 14, 2020

কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই লকডাউন চাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র: অধীর চৌধুরী

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মতে, কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ৩-৪ দিন সময় দেওয়া উচিত।

কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই লকডাউন চাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র: অধীর চৌধুরী

অধীররঞ্জন চৌধুরীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী যেন কেবল নিজের পিঠ না চাপড়ে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলির উদ্যোগকেও কৃতিত্ব দেন।

হাইলাইটস

  • কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ অধীর চৌধুরীর
  • তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উচিত রাজ্যগুলির কৃতিত্বও স্বীকার করা
  • মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৩৬৩

কোভিড-১৯ (COVID-19) সঙ্কট মোকাবিলায় তাঁর সরকারের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury) মঙ্গলবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করে দাবি করলেন, প্রথম দিকে সময় নষ্ট করার পর হঠাৎই লকডাউনের (Lockdown)সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান, তিনি কেবল নিজের পিঠ না চাপড়ে যেন এই লড়াইয়ে রাজ্যগুলির উদ্যোগকেও কৃতিত্ব দেন। তিনি নয়াদিল্লিতে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ প্রথম ধরা পড়ে চিনে, ডিসেম্বরের গোড়ায়। জানুয়ারি থেকে এর সংক্রমণ বাড়তে থাকে। বহু দেশ সেই সময় থেকেই এই সঙ্কটের মোকাবিলা করতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু আমাদের সরকার এসবকে বেশি গুরুত্ব দেয়নি।''

৩ মে-র আগেই কিছু এলাকায় নিষেধাজ্ঞা উঠবে কীভাবে, ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীর 

তাঁর মতে, ‘‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্র মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে। তারা যদি আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিত পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না।'' তবে তিনি এটা মেনে নিয়েছেন যে, ভারত এই অতিমারির মোকাবিলায় বহু উন্নত দেশের থেকে ভাল অবস্থানে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘সমস্যায় পড়ে যাওয়া প্রতিটি মানুষ যেন ঠিকমতো খাদ্যশস্য পায় এবং জন বিতরণ পদ্ধতি যেন ঠিক ভাবে করা যায় তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।''

লকডাউনে "ভারতের মানুষের একজোট" হওয়ার শক্তি প্রত্যক্ষ করা গেছে: প্রধানমন্ত্রী

করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত এই সংক্রমণের বেশি ছড়িয়ে পড়া রুখতে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মতে, কোনও রকম প্রস্তুতি না নিয়েই লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েক ঘণ্টার পরিবর্তে ৩-৪ দিন সময় দেওয়া উচিত।

তিনি অভিযোগ করেন, এমন অপ্রত্যাশিত ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের ঘোষণা করার ফলে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে বিরাট সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে এই সঙ্কটের মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন অধীর।

২৫ মার্চের কয়েক সপ্তাহ আগেই কেন্দ্র কি আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা কিংবা লকডাউন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারত ন‌া, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বহরমপুরের পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরী দাবি করেন, সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী যেন পিপিই ও মাস্ক পান। পাশাপাশি সর্বত্র পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর দাবিও করেন তিন‌ি। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে কেবল বেডের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মাস্ক, পিপিই পান।''

মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৩৬৩। মৃত ৩৩৯। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। অর্থনীতিও এর ফলে সমস্যায় পড়েছে। অধীর বলেন, কী করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায় তা নিয়ে কেন্দ্রও সূত্রহীন অবস্থায় রয়েছে। এর মোকাবিলায় সরকারকে একটা রোড ম্যাপ তৈরি করে এগোতে হবে বলে জানান তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে করোনা পরীক্ষা অনেক কম হয়েছে। মানুষ মনে করছে রাজ্য সরকার আসল ছবিটা লুকোতে চাইছে। আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব তথ্য গোপন না করতে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়বে।''



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.