National Population Register: ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এনপিআরের জন্য ডেটা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়
হাইলাইটস
- এনপিআরের আপডেট হবে, জানালো কেন্দ্রে, এর জন্যে ব্যয় হবে ৮,৫০০ কোটি টাকা
- পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও পাঞ্জাব এনপিআরের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করে
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এনপিআরের কাজ বন্ধ করে রাজ্যগুলি
নয়া দিল্লি: জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের (NPR) কাজ নিয়ে মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠক করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ওই বৈঠকে এনপিআরের আপডেট সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মোদি সরকার। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত এই খসড়া তালিকাটি তৈরি করতে ব্যয় হবে প্রায় ৮,৫০০ কোটি টাকা, প্রাথমিকভাবে এনপিআরের ব্যয় হিসাবে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জনগণনা সংক্রান্ত কমিশন জানিয়েছে যে এনপিআরের (National Population Register) আসল উদ্দেশ্য হ'ল দেশের প্রতিটি "সাধারণ বাসিন্দার" একটি বিস্তৃত পরিচয় তথা তথ্য বিবরণী তৈরি করা। ওই তথ্য সংকলনে জনসংখ্যার পাশাপাশি বায়োমেট্রিকের বিশদ বিবরণও থাকবে। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ অসম ছাড়া সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এনপিআরের খসড়া সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। অসমে এনপিআরের প্রয়োজন নেই কেননা সে রাজ্যের অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতে ইতিমধ্যেই সেখানে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধীকরণের খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এনপিআরের জন্য ডেটা সংগ্রহের কাজ শুরু হয় । লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার মাধ্যমে এনপিআর তথ্য প্রথম আপডেট করা হয় ২০১৫ সালে; এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, আপডেট হওয়া তথ্যের ডিজিটালাইজেশনও এখন সম্পূর্ণ।
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের জনগণনার পাশাপাশি ২০২০ সালের মধ্যে এনপিআরের তথ্য আপডেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এনপিআর-এর একজন "সাধারণ বাসিন্দা" হিসাবে সেই ব্যক্তিকেই বিবেচনা করা হয় যিনি কমপক্ষে ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে কোনও একটি অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বাস করেছেন, বা এমন কোনও ব্যক্তি যিনি পরের ছয় মাস বা তারও বেশি সময় কোনও অঞ্চলে বাস করতে চান। ভারতের প্রতিটি "সাধারণ বাসিন্দার" জন্য এনপিআরে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে পরিস্থিতিতে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ বন্ধ করল বাংলা
কিন্তু সম্প্রতি সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পরেই ওই আইন নিয়ে বিতর্কের জেরে নিজেদের রাজ্যে এনপিআরের কাজ করা স্থগিত করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একই ভাবে এনপিআরের আপডেট সংক্রান্ত কাজ বন্ধের ঘোষণা করে কেরালা সরকারও।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের প্রস্তুতি হিসাবেই এনপিআরের কাজ শুরুর কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার এই সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ছাড়পত্র ছাড়া এনআরপি সম্পর্কিত কোনও কাজ এগোনো যাবে না।"'
প্রতিবাদ থামান, শীর্ষ আদালতের কথা শুনুন': নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন রাজ্যপাল
"সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জেরে যেভাবে বিতর্ক ছড়িয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এনআরসি প্রস্তুতির সুবিধার্থে আয়োজিত এনপিআরের আপডেট করার কাজে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে". গত সপ্তাহে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান এ কথা।
পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার মতো একই পথে হেঁটে এনপিআর কাজ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব সরকারও। যদিও কেন্দ্র সাফ বলেছে যে এইভাবে এনপিআরের কাজ বন্ধ করার কোনও এক্তিয়ার রাজ্য সরকারগুলির নেই। এনপিআরের আপডেট করার কাজ বাধ্যতামূলক, মঙ্গলবারই জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
দেখুন এই ভিডিও: