This Article is From Aug 01, 2019

রাজ্যসভায় পাস হল মোটর ভেহিকলস বিল, ট্রাফিক আইন ভাঙলে দিতে হবে কড়া জরিমানা

রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল মোটর ভেহিকলস বিল। বিলটি আগে লোকসভায় পাস করানো হয়েছিল ২৩ জুলাই

ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে কড়া জরিমানার মাধ্যমে ট্রাফিক আইনকে আরও পোক্ত করতেই এই বিল

হাইলাইটস

  • পাস হয়ে গেল মোটর ভেহিকলস বিল
  • বিলটি আগে লোকসভায় পাস করানো হয়েছিল ২৩ জুলাই
  • ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে কড়া জরিমানার কথা বলা হয়েছে বিলটিতে
নয়াদিল্লি:

বুধবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাস হয়ে গেল মোটর ভেহিকলস বিল (Motor Vehicles Bill)। ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করানো এবং ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে কড়া জরিমানার মাধ্যমে ট্রাফিক আইনকে আরও পোক্ত করতেই এই বিল। উচ্চ কক্ষে মোটর ভেহিকলস (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ পাস হল সড়ক পরিবহন এবং হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করির তিনটি সংশোধনী সহ। পক্ষে ১০৮টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ১৩টি। বিলটি আগে লোকসভায় পাস করানো হয়েছিল ২৩ জুলাই। কিন্তু বিলটি আবারও লোকসভায় ফেরত যাবে একটি ‘টাইপো' তথা মুদ্রণপ্রমাদের কারণে। এই বিলে প্রস্তাবিত হয়েছে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ সংক্রান্ত জাতীয় পরিবহন নীতির কথা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলেই এটি তৈরি করা হবে।

এই বিল আইনে পরিণত হলে নতুন যানবাহন ডিলার পর্যায়েই রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। ক্রেতাদের রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে হবে না।

‘‘আমরা কি পিৎজা ডেলিভারি করছি নাকি বিল পাস করছি?'': প্রশ্ন তুললেন ডেরেক ও'ব্রায়েন

আগের বার এই বিল রাজ্যসভায় অনুমোদনের জন্য পড়েছিল। পরে ষোড়শ লোকসভার সমাপ্তিতে তা বাতিল হয়ে যায়। এই বিল অনুযায়ী, আপৎকালীন যানবাহনকে রাস্তা না ছাড়লে ১০,০০০ টাকা জরিমানা হবে। চালকের যোগ্যতা অর্জন না করে গাড়ি চালালেও ১০,০০০ টাকা দিতে হবে জরিমানা বাবদ। ড্রাইভিং লাইসেন্সে কারচুপি করলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। গতির ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক ১,০০০-২,০০০ টাকা। বিমা না করে গাড়ি চালালে জরিমানা হবে ২,০০০ টাকা। হেলমেট না পরলে দিতে ১,০০০ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জন্য লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হবে।

‘তিন তালাক' বিলের বিরোধিতা করেও বিল পাশের সময় মেহবুবা মুফতির দলের আশ্চর্য পদক্ষেপ

১৮টি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীদের পাঠানো প্রস্তাব থেকেই এই বিল গঠন করা হয়েছে।

কোনও নাবালক সড়ক আইন ভাঙলে গাড়ির মালিক বা নাবালেকর অভিভাবককে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে জরিমানা দিতে হবে ২৫,০০০ টাকা। সেই সঙ্গে তিন বছরের জেল এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বাতিল।

ট্রাফিক আইন ভাঙলে এবার ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে আগে ৫০০ টাকা জরিমানা হত। এখন তা বেড়ে ন্যূনতম ২,০০০ টাকা করা হয়েছে।

লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৫,০০০ টাকা জরিমানা হবে। এবং যে চালকদের গাড়ি চালানোর যোগ্যতা থাকবে না তাঁদের ১০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। 

বিপজ্জনক ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক ১,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫,০০০ টাকা করা হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে দিতে হবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। গাড়িতে অতিরিক্ত মাল নিলে ২০,০০০ টাকা জরিমানা।

এদিন বিল পাস করানোর সময় গড়করি বলেন, কেন্দ্র রাজ্যগুলির মত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি‌ এও জানান, রাজ্য শুল্ক বাবদ প্রাপ্ত অর্থ থেকে কোনও অংশই নেবে না কেন্দ্র। পাশাপাশি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির নির্মাণের অধিকারও রাজ্যের কাছেই থাকবে।

এই আইনে ট্রাফিক সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ এবং ভয়ঙ্কর চোট লাগলে ২.৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছে।

নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, ভারতে ২২ থেকে ২৫ লক্ষ চালকের ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি কেন্দ্রের জন্য ১ কোটি টাকা করে দিতে প্রস্তুত। যা থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আরও বেশি করে খোলা সম্ভব।

তিনি এও বলেন, এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া পুরোটাই কম্পিউটারাইজড হয়ে যাবে। ফলে কোনও মন্ত্রী বা সাংসদকেও অনলাইন টেস্ট দিয়েই লাইসেন্স নিতে হবে। 

তিনি ইলেকট্রিক বাস চালানোর ব্যাপারে জোর দেন। তিনি জানান মানেসার ও ধৌলা কুয়ানের মধ্যে একটি ২৬৫ আসনের বাস, যাকে স্কাইবাস বলা হয় তা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ জানিয়েছে এই বিল ত্রুটিপূর্ণ। কেন্দ্র বিলটির ব্যাপারে রাজ্যসভাকে ফাঁকি দিচ্ছে।

.