ধর্ষণের অভিযোগের মোট ১,৬৬,৮৮২ টি মামলা এবং পকসো আইনের আওতাধীন (POCSO Act Cases) মামলাগুলি বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
নয়া দিল্লি: সারা দেশে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে (POCSO Act Cases) হওয়া অপরাধের প্রায় ১.৬৬ লক্ষেরও বেশি মামলা বিচারের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। এবার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। বিচারাধীন মামলাগুলির দ্রুত বিচার সম্পন্নের জন্য ১,০২৩ টি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট (fast-track special courts) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে তাঁরা। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের অধীনে বিচার বিভাগের একটি প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এই বিশেষ আদালতের প্রত্যেকটিতে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৬৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোট ১,০২৩ টি এফটিএসসি গঠন করা হবে, যার মধ্যে ৩৮৯ টি আদালত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, শিশুদের যৌন অপরাধ (পকসো) আইন অনুসারে নিবন্ধিত মামলাগুলি একচেটিয়া পরিচালনা করবে। বাকি ৬৩৪ টি এফটিএসসি সওয়াল জবাব এবং প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে ধর্ষণের অভিযোগ মামলা বা ধর্ষণ (Rape cases) এবং পকসো আইন উভয় ক্ষেত্রেই মামলা পরিচালনা করবে।
তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বিজেপি নেতাকে জেরা করবে পুলিশ
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, "প্রতিটি এফটিএসসি প্রতি ত্রৈমাসিকে ৪১-৪২ টি এবং এক বছরে কমপক্ষে ১6৫ টি মামলাj নিষ্পত্তি করবে বলে আশা করা হচ্ছে"।
বিচার বিভাগের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশব্যাপী বিভিন্ন আদালতে ধর্ষণ ও পোকসো আইনের আওতায় মোট ১,৬৬,৮৮২ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
নয়া ওই পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশে ৩৮৯ টি জেলা রয়েছে যেখানে পকসো আইনের অধীনস্থ বিচারাধীন মামলাগুলির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। সুতরাং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই জেলাগুলির প্রত্যেকটিতেই একটি করেই একচেটিয়া পকসো আদালত থাকবে, যা অন্য কোনও মামলার বিচার করবে না।
এর আগে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক বলেছিল, এই এফটিএসসি স্থাপনের প্রক্রিয়া আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে পারে।
ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে নগ্ন অবস্থাতেই পথে দৌড় আতঙ্কিত কিশোরীর
মোট ৭৬৭.২৫ কোটি টাকার বাজেটে বিচার বিভাগ ১,০২৩ টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের প্রস্তাব করেছিল। এর জন্যে বছরে ৪৭৪ কোটি টাকা নির্ভয়া তহবিল থেকে জোগাবে কেন্দ্র । ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর ২০১৩ সালে নয়া এই তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এটি সরকার এবং বিভিন্ন এনজিওগুলির মহিলাদের সুরক্ষার লক্ষ্যে কাজ করার উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
৮ অগাস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের এক চিঠিতে বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ১১ জুলাই অর্থ কমিটির ব্যয় সুপারিশ ও আইনমন্ত্রীর অনুমোদনের পরে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য গত ১১ জুলাই অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। "একযোগে, অন্যান্য সংযুক্ত পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে যেহেতু এফটিএসসি স্থাপনের পরিকল্পনা ২ অক্টোবর, ২০১৯ থেকে শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে", জানায় বিচার বিভাগ ।