নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ট্যাবলোর প্রস্তাবনা, এ রাজ্য থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল
প্রজাতন্ত্র দিবসের (R-Day) কুচকাওয়াজ থেকে বাদ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো (tableau)। এবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। সিএএ-বিরোধী প্রচারের কারণেই কেন্দ্র বাংলার মানুষের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ, এমন অভিযোগও তুলেছে তারা। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই ওই ট্যাবলো প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, তাই খারিজ হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ট্যাবলোর প্রস্তাবনা, এ রাজ্য থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী আর জল ধরো, জল ভরো। রাজ্য সরকারের এই তিনটি প্রকল্প বহুল চর্চিত এবং সাধারণের উপকারে কাজে এসেছে। এই তিনটির মধ্যে কোনও একটা, এমন উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হলে, সেটা পত্রপাঠ খারিজ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, "আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রায় দু'বার পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাব খতিয়ে দেখেছে। তারপর সেটা খারিজের অনুমোদন জানিয়েছে"।
এরপরেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় অভিযোগ করেন, "এ রাজ্যের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে কেন্দ্র। শুধুমাত্র সিএএ-বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার জন্য কেন্দ্র আমাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। খারিজ করেছে রাজ্যের প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোর প্রস্তাব।"
তিনি যোগ করেছেন, "এই ধরণের কাজ কেন্দ্র আগেও করেছে। এই ধরণের নীচু মানসিকতার রাজনীতি করে ওরা আমাদের কন্ঠ-রোধ করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ওরা অপমানিত করেছে। এর জবাব বিজেপি পাবেই"। এই অভিযোগের বিরোধিতা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "পর্যাপ্ত পদ্ধতি আর নিয়ম মেনে আবেদন না করার জন্যে খারিজ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো"। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, "তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর আগে বহুবার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হয়েছে। তাই এবার কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। যা হয়েছে নিয়ম মেনে।"
তবে এই ট্যাবলো বাতিল নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই সিদ্ধান্ত এমন সময় নেওয়া হয়েছে, যখন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সুর চড়িয়েছেন।এমনকি তিনি ঘোষণা করেছেন, এই আইন তাঁর রাজ্যে লাগু হবে না। স্থগিতদেশ দেওয়া হয়েছে এনপিআর-এর ওপর।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)