সন্তানসম্ভবা এবং ১২ বছরের নীচে যাঁরা, তাঁদের জন্য রেমডেসিভির নিষিদ্ধ।
নয়াদিল্লি: সংক্রমিত রোগীদের ওপর রেমডেসিভির প্রয়োগে বিধি বদলাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Remdesivir drug on Corona patients)। আগে সংক্রমণের পরদিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত মাঝারি মানের রোগীদের এই ওষুধ প্রয়োগ করা যেত। এখন একই ধরনের রোগীদের পাঁচ দিন পর্যন্ত রেমডেসিভির প্রয়োগ করতে হবে। পরিবর্তিত এই বিধি সংক্রান্ত প্রোটোকল শুক্রবার জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই ওষুধ প্রথম দিন ২০০ মিলিগ্রাম দিতে হবে। পরের চারদিন আরও ১০০ মিলিগ্রাম করে প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ মাঝারি শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনও করোনা রোগী চিকিৎসাধীন হলে মোট পাঁচ দিন এই ড্রাগ ব্যবহার করা যাবে। ১৩ জুন আপদকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঝারি মানের রোগীদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগে অনুমোদন দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তদন্তকারী থেরাপি হিসেবে এই চিকিৎসা চলবে। এমনটাই মন্ত্রকের বিবৃতিতে উল্লেখ ছিল। অক্সিজেন সাপোর্ট আছে এমন রোগীদেরকে (Patients with Oxygen support) রেমডেসিভির দেওয়া যেতে পারে, পরামর্শ দিয়েছিল মন্ত্রক।
তবে, সন্তানসম্ভবা, কিডনির রোগী, রক্তের সমস্যা আছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহার নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ১২ বছরের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রেও রেমডেসিভির ব্যবহারে রাশ টেনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে ক্রমেই আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে ভারতের আকাশে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এদেশে মোট ৬,৪৮,৩১৫ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো, যতদিন যাচ্ছে ততই যেন নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে। একদিনের মধ্যে নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২২,৭৭১ জন, আর মারা গেছে ৪৪২ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এদেশে এই রোগে ভুগে মৃত্যু হয়েছে ১৮,৬৫৫ জনের। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বাড়ছে। দেশে করোনার কবলে পড়েও সুস্থ হয়ে গেছেন ৩,৯৪,২২৭ জন। অর্থাৎ পুনরুদ্ধারের হার ৬০.৮০ শতাংশ। দেশে বর্তমানে করোনা ভাইরাসে ভুগছেন এমন রোগীর সংখ্যা হল ২,৩৫,৪৩৩ জন।
১,৯২,৯৯০ জন করোনা সংক্রমিত মানুষ নিয়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হল মহারাষ্ট্র। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকাশিত পরিসংখ্য়ানে জানা গেছে, শুক্রবার সেরাজ্যে ১৯৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে এই মহামারীর কারণে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৩৭৬।