অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
হাইলাইটস
- সূত্রানুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে করোনা মোকাবিলায়
- অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে
- দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত সাত
করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার শিগগিরি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে বলে সূত্রানুসারে জানতে পেরেছে NDTV। চার দিন আগে, গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিস্থিতি সামাল দিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার ঘোষণা করেন। জানিয়েছিলেন, ওই ফোর্স পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় অনুদানের কথা। তিনি একে ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব' বলে উল্লেখ করেন।
২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন পশ্চিমবঙ্গ, সোমবার থেকেই শুনশান কলকাতা
তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘‘ভারতে নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দিকে লক্ষ রেখে, যাকে ‘হু' অতিমারী ঘোষণা করেছে, ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একে ঘোষিত বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করার। জানানো হচ্ছে, কোভিড-১৯-এর জন্য সিএসআর তহবিলের বরাদ্দ রয়েছে সিএসআর-এর জন্য।''
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী । তখন তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। ভারতে তার প্রভাব কতটা তা খতিয়ে দেখা হবে।
"অনেকেই লকডাউনের গুরুত্ব বুঝছেন না": করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী মোদি
চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে ধাক্কা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। সে বিমান সংস্থা হোক কিংবা ছোট ব্যবসায়ী সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে লকডাউনের পরিস্থিতিতে কেবল অত্যাবশ্যক সামগ্রী ছাড়া অন্য সামগ্রীর দোকান বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে। কিন্তুই তা কার্যকর করতে দিতে রাজি নয় ব্যুরোক্র্যাটরা।
মার্কিন উদ্যোগের দিতে তাকিয়ে ভারতের পক্ষ থেকেও বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সোমবার সংসদে কংগ্রেস আর্থিক প্যাকেজের দাবি করে। তারা জানায়, সরকারের আজই এটা ঘোষণা করা উচিত। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরীকে বলেন, এই বিষয়টি আজই উত্থাপিত করা সম্ভব নয়। কেননা এদিন কেবলই অর্থ বিলটি পাস করার কথা।
রাজধানী দিল্লি ও অন্যান্য প্রধান শহর সহ দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৫। মৃত সাত।
মোট আশিটি জেলা রয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউনে। রবিবার থেকেই পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, অরুণাচল প্রদেশ, দিল্লি, ছাড়াও বাংলা ও গুজরাতের একাংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।