নেতাজী অন্তর্ধান নিয়ে আইবির ফাইলের দাবি জানালেন চন্দ্রবসু
কলকাতা: সরকারি ঘোষণা হয়নি। অথচ, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) 'প্রয়াণ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা 'প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি (PIB)। যার সঙ্গে সহমত নন বিজেপি নেতা ও বসু পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু (Chandra Kumar Bose)। তাঁর মতে, নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যভেদ এখনও হয়নি। ট্যুইটে চন্দ্র বসু বলেন, ‘দেশবাসী নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যভেদের পক্ষে। কতিপয় মানুষ নিজেদের স্বার্থে মিথ্যে তথ্য প্রচার করছে। পিআইবির ট্যুইট সঠিক উপস্থাপনা নয়। এই ধরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা উচিত এবং অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে।'
চন্দ্র বসু জোর দেন, জাপান থেকে নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল আনা ও রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষায়। এপ্রসঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা ব্যুরোর কাছে থাকা ফাইলও দেখার কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, পিআইবি আমেদাবাদ সহ বেশকয়েকটি অ্যাকাউন্টে ট্যাগ করে ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘নেতাজির অন্তর্ধান বিষয়টি এখন দেশে চর্চার মধ্যে রয়েছে। রহস্যভেদে জাপানে রাখা নেতাজি সংক্রান্ত তিনটি ফাইল ও রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হোক।'
রবিবার পিআইবি-র ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে স্মরণ করছে পিআইবি।'
পিটিআইকে চন্দ্র বসু বলেন, ‘নেতাজিকে যথেষ্ট সম্মান দিযেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদি তাঁর অন্তর্ধান রহস্য বা মৃত্য সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত তথ্য থাকে তবে যেন তা সম্মানের সঙ্গেই জানানো উচিত। পিআইবির মতো করে নয়। নেতাজির মৃত্যু হতেও পারে বা নাও হতে পারে। আমরা সত্য জানতে চাই।'
প্রকাশিত বহু রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, ১৪৫ সালের ১৮ই অগস্ট তাইহুকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। যার সঙ্গে সহমত নন অনেক বিশেষজ্ঞই। কেন্দ্র নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য ভেদে একটি কমিটি ও দুটি কমিশন গঠন করেছে। তাতেও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়নি। মোদি সরকার এই সংক্রান্ত জাপানি সরকারের রিপোর্টও উন্মোচন করেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)