Chandrayaan 2: রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পরেই চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে নামতে উন্মুখ ভারত।
নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান ২ (Chandrayaan 2) চাঁদে (Moon) অবতরণের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। মঙ্গলবার চন্দ্রপৃষ্ঠের খুব কাছে পৌঁছে প্রায় ২০ মিনিট পরিকল্পিত ভাবে পরিচালনা করা হল যানটিকে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একথা জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়েছে চন্দ্রযান ২। এরপর আবার ২৮ আগস্ট চাঁদের কক্ষে পরিকল্পিত পরিচালনা করা হবে যানটিকে। ইসরো একটি টুইটে জানিয়েছে, ‘‘দ্বিতীয় বার চাঁদের কক্ষপথে সাফল্যের সঙ্গে চালনা করা হয়েছে চন্দ্রযান২-কে।'' মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, যানটির নড়াচড়া একেবারে স্বাভাবিক। এভাবে কক্ষপথে পরিচালনা করা হতে থাকলে চন্দ্রযান মেরুর দিকে এগোবে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটারের দূরত্বে পৌঁছে যাবে।
৭ সেপ্টেম্বর চাঁদে নামবে Chandrayaan 2, ইসরো জানাল সেই মুহূর্ত আতঙ্কের
আপাতত আসল অপেক্ষা ৭ সেপ্টেম্বরের জন্য। ওইদিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ২। মঙ্গলবার চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়াটাও খুব কঠিন একটি প্রক্রিয়া ছিল। যদি সেটি বেশি গতি নিয়ে ঢুকতে চাইত তাহলে ছিটকে বেরিয়ে গিয়ে হারিয়ে যেত অনন্ত মহাশূন্যে। আবার গতি যদি কম থাকত, তাহলেও সমস্যা হত। সেক্ষেত্রে চাঁদ তাকে সজোরে টেনে নিত তার ভূপৃষ্ঠের দিকে। সেক্ষেত্রে সেটি ভেঙে আছড়ে পড়ত চাঁদের মাটিতে। ইসরোর প্রধান ড. কে সিভান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের হৃৎপিণ্ড ৩০ মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে ছিল যতক্ষণ না ব্যাপারটা সম্পন্ন হচ্ছিল।''
চন্দ্রযান ২-এর চন্দ্রাবতরণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। কেননা এর গতিবেগ ৩৯,২৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। যা শব্দের গতির ৩০ গুণ।
২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে চন্দ্রযান ২-কে। প্রথম বারের উৎক্ষেপণ স্থগিত করে এক সপ্তাহ পরে আবার প্রচেষ্টা করা হয়। সেবারই সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়।
মাত্র ১,০০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প নিয়ে সারা বিশ্বেরই কৌতূহল রয়েছে। অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম খরচে এই অভিযান সম্পন্ন করতে পারলে নিঃসন্দেহে ইসরো এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।
৭ সেপ্টেম্বর ইতিহাস রচনা করবে ভারত। সেক্ষেত্রে চাঁদে সঠিক ভাবে অবতরণের ক্ষেত্রে রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পরেই চতুর্থ দেশ হিসাবে স্থান পাবে ভারত।