ইসরোর চন্দ্রযানের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা
হাইলাইটস
- চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ঠিক আগেই সিগন্যাল চলে যায়
- চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস তৈরির আশায় ছিল ভারত
- “কম কৃতিত্ব নয়”, ইসরোর বিজ্ঞানীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি/বেঙ্গালুরু: শনিবার চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের কয়েক সেকেন্ড আগেই চন্দ্রায়ণ-২ (Chandrayaan 2) এর ল্যান্ডারের (Lander) সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এমনটাই জানিয়েছেন ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে প্রথম দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় ছিল ভারত, তবে রাত ১.৫৫, সময়টা এল এবং চলে গেল, মিশন সফল হওয়ার কোনও বার্তা এল না। কন্ট্রোলরুমে বসে লাভ দেখছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাঁকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজ্ঞানীদের বলেন, “এটা জীবনের উত্থান ও পতন। এটা কম কৃতিত্ব নয়। আমি আপনাদের অভিন্দন জানাই। আপনারা সবাই দেশ, বিজ্ঞান ও মানুষের জন্য দারুণ কাজ করেছেন, সবরকমভাবে আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি, সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলুন”।
“কম,কৃতিত্ব নয়, দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত”, ইসরোর বিজ্ঞানীদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে, ১.৩০ থেকে ২.৩০ এর মধ্যবর্তী সময়ে অবতরণের আগে, মূল অরবিট থেকে আলাদা হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রম, তারপরে বেশ কয়েকটি উতরাই হয় তার। শেষের কিছুক্ষণ সময়কে “আতঙ্কের ১৫ মিনিট” বলে ব্যাখা করেছে ইসরো। পৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইসরোর প্রধান ক শিবান বলেন, “বিক্রম ল্যান্ডার ছিল পরিকল্পিত এবং ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিক লাগছিল। পরবর্তীকালে, পৃষ্ঠের সঙ্গে ল্যান্ডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে”। চন্দ্রযান-২ কে “ইসরোর করা সমস্ত অভিযানের থেকে সবচেয়ে জটিল” বলে মন্তব্য করেছেন কে শিবান।
পরিকল্পনা মাফিক যদি সব কিছু এগিয়ে যেত, তাহলে সকাল ৫.৩০ থেকে ৬.৩০ এর মধ্যে বেরিয়ে পড়র রোভার। ১৪ দিনের আয়ুষ্কালে, চাঁদের সম্পদের খোঁজ করা, জলের সন্ধান করা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ছবি সংগ্রহের কাজ কর রোভার।
“একজন সদ্যোজাতের মতোই খুবই সাবধানী পদক্ষেপ”, বললেন ইসরো প্রধান
যে এলাকায় বিক্রমের অবতরণের কথা ছিল, সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও যান নামেনি। যেগুলি চাঁদের গিয়েছে, সেগুলি হয় উত্তারাংশে নাহলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে।
উত্তরাংশে চিন একটি অনেক আগে একটি মিশন চালায়, পরে রাশিয়া। আমেরিকার চন্দ্রযানের মধ্যে এমনকী, অ্যাপোলও ছিল চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলে। চাঁদের অন্ধকার অংশে চিনের একটি রোভার রয়েছে।
চাঁদে ধীরে ধীরে অবতরণের ক্ষেত্রে চতুর্থ দেশ হিসেবে উঠে আসতে পারত ভারত। তার আগে রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন।
২৩ জুলাই, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে GSLV Mark 3 এ উৎক্ষেপণণ করা হয় চন্দ্রযান-২ এর। দ্বিতীবারের চেষ্টায় এক মিনিটের মধ্যে সেটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। তার এক সপ্তাহ আগে অবতরণের ৫৬ মিনিটের মাথায় প্রথমবারের উৎক্ষেপণ বাতিল হয়।