নির্মলা সীতারামন বলেন, সারা বিশ্বে ইসরো, তাদের কাজের জন্য প্রশংসিত।
কলকাতা: অর্থনৈতিক দিক থেকে নজর ঘোরাতে কেন্দ্রীয় সরকার চন্দ্রযান-২ ইস্যু তুলে ধরেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারই জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বললেন, সারা বিশ্বে ইসরো, তাদের কাজের জন্য প্রশংসিত।তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে ইসরো কাজের জন্য প্রশংসিত, বিশেষ করে এই মিশনটি ঐতিহাসিক এবং সেই জায়গা ছুঁতে চলেছে, যেখানে কোনও দেশ পৌঁছাতে পারেনি”। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “এটা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে গর্বের। ইসরোর প্রতি গর্বিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনও দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই”। এর আগে বিধানসভায় বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্দে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, দেশে এই প্রথমবার চন্দ্রাভিযান হচ্ছে। মনে হচ্ছে, তারা ক্ষমতায় আসার আগে কোনও মিশন হয়নি। অর্থনৈতিক দিক থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ”।
অসমের এনআরসি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চলাকালীন এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চন্দ্রায়ণ-২ দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান এবং ইসরোর প্রথম চন্দ্রাভিযান। শনিবার মধ্যরাতে চাঁদের মাটিতে অবতরণের কথা চন্দ্রায়ণ-২ এর।
শনিবার বেঙ্গালরুতে ইসরোর সদর দফতরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রায়ণ-২ এর অবতরণের লাইভ দেখবেন তিনি।
চন্দ্রায়ণ-২ এ রয়েছে অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার।
একটি বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, “২০১৯, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১.০০ থেকে ২.০০ এর মধ্যে পাওয়ার ডিসেন্ট হবে , তারপরেই ১.৩০ থেকে ২.৩০ এর মধ্যে চাঁদের মাটিতে পা রাখবে”।
চাঁদের মাটিতে বিক্রম অবতরণের পরেই, রোবার প্রজ্ঞান পরিকল্পনা মতো গবেষণার কাজ শুরু করবে।
৯৬* ১২৫ কক্ষপথে চাঁদের চারপাশে ঘুরবে চন্দ্রায়ণ-২।
২২ জুলাই GSLV Mk III রকেটের মাধ্যমে ৯৭৮ কোটি টাকার চন্দ্রায়ণ-২ যাত্রা করে।