রইল বিশেষ ১০ টি তথ্য:
ISRO পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ''লঞ্চিং -এর মাত্র এক ঘন্টা আগে একটি যান্ত্রিক সমস্যা নজরে আসে। আজ #Chandrayaan2-এর মহাকাশের পথে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। লঞ্চিং -এর তারিখ পরে জানানো হবে। ''
এর আগে Chandrayaan 2 -এর জানুয়ারি মাসেই মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে তা পিছিয়ে ১৫ জুলাই করা হয়েছিল। ISRO-র প্রধান কে সিভান NDTV -কে জানিয়েছেন আজকের পরিবর্তে কালকে এটা করা সম্ভব হত, কিন্তু লঞ্চিং উইন্ডোর কিছু যান্ত্রিক মানদণ্ড সম্পূর্ণ করতে হয়, যার ফলে নতুন তারিখ ঘোষণা হতে সপ্তাহ বা মাসও লেগে যেতে পারে।
এক ঘন্টা আগে ISRO-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওড়ার জন্য তরল হাইড্রোজেন গ্যাস ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে।
চন্দ্রযান 2 -কে জিএসএলবি মার্ক-III-এম-1 রকেটের মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ দিশায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শ্রীহরিকোটা স্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা থেকে ২.৫১ মিনিটে চন্দ্রযান-2 -এর ওড়ার কথা ছিল, সারা দেশের চোখ ছিল সেদিকে।
এই ৩৮৫০ কিলোগ্রাম ওজনের অন্তরীক্ষ যানটির নিজের সাথে একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডের ও একটি রোভার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে রওনা হওয়ার ৫৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড আগে আটকে দেওয়া হয় এর ওরাকে।
এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশ যান ছিল জিএসএলবি মার্ক-III-এম-1 রকেটের সাথে ৯৭৮ কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত চন্দ্রযান-2 -এর চাঁদে পৌঁছাতে ৫৪ দিন সময় লাগত।
গত সপ্তাহে গবেষণা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে রবিবার সকাল ৬.৫১ মিনিট থেকে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছিল।
বেশ কিছু বিজ্ঞানী ও গবেষক জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-2 নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে না পারায় সকলেই একটু হতাশ হয়েছিলেন, কিন্তু সঠিক সময়ে সমস্যাটি চোখে পড়ে যাওয়াতে খুবই ভালো হয়েছে। আসা করা হচ্ছে শীঘ্রই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
Chandrayaan 2 মিশনে ব্যবহৃত সমস্ত যন্ত্রাংশ গুলি ভারতেই ডিজাইন করা হয়েছে এবং তা ভারতেই Chandrayaan 1-এর সাফল্যই ছিল এর পাথেয়। যা ২০০৯-এ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিল যে, চাঁদে জল আছে।
ভারতের পরবর্তী মিশন হল ২০২২ সালে Gaganyaan-এর মধ্যে কোনো মানুষকে কক্ষপথে পৌঁছানো।