প্রথমবার উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলেও ২২ জুলাই ফের মহাকাশে রওনা হবে চন্দ্রযান-২
নয়া দিল্লি: অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে আগামী সোমবার ২টো বেজে ৪৩ মিনিটে ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে চন্দ্রযান-২-এর (Chandrayaan 2) , ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ১০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে এই চন্দ্রাভিযান (Chandrayaan Moon Mission) সফল করার লক্ষ্যে। চন্দ্রযান-২, যে চন্দ্রাভিযানে সাফল্য পেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ইতিহাস গড়তে পারবে ভারত, ১৫ জুলাই ওই যানটি উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট এবং ২৪ সেকেন্ড আগে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমবারের প্রযুক্তিগত সমস্যার পর আরও সতর্ক হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি, আগামী সোমবার যাতে সব বাধা কাটিয়ে সফলভাবে ওই মহাকাশযানকে (Chandrayaan 2 Launch) উৎক্ষেপণ করা যায় তার জন্যে সবরকম প্রস্তুতিই নিয়ে রাখছে ইসরো।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, যদি আগের দিন উৎক্ষেপণের সময় ওই সমস্যাটি সমাধান করা না হত, তবে চন্দ্রযান-২"পুরোপুরি ব্যর্থ" হত।
৫৬ মিনিট আগে যান্ত্রিক সমস্যার জন্য আটকে গেল Chandrayaan 2 -এর লঞ্চিং
"সমস্যাটা গুরুতর ছিল, কিন্তু সেটি সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে, আমরা চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের আগে আগেই সমস্যাটি ধরতে পেরেছিলাম। আর সেটা ধরতে পারায় ওই সতর্কতা অবলম্বন করি আমরা, এক বিলিয়ন ভারতীয়ের প্রার্থনা এবং শুভেচ্ছা এই মিশনটির ব্যর্থতা এড়াতে সাহায্য করেছিল", বলেন ওই কর্মকর্তা।
প্রযুক্তিগত সমস্যাটি জটিল ক্রোজেনিক পর্যায়ে ছিল, এই ধরণের সমস্যা মহাকাশ অভিযানের একেবারে শেষ পর্যায়গুলিতেই সাধারণত ধরা পড়ে।
ক্রিজনীয় পর্যায়ে ব্যবহৃত উচ্চ দহনশীল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন ওই রকেট থেকে সরানো হয় এবং সমস্যাটির সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে এনডিটিভিকে জানান ইসরোর ওই কর্মকর্তা।
৬৪০ টন ওজনের রকেটটির আনুষ্ঠানিক নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেইকেল মার্ক 3 (জিএসএলভি এমকে 3), যা মূলত 'বাহুবলী' নামেই পরিচিত। এই রকেটটি ৪৪ মিটার দীর্ঘ বা একটি ১৫ তলা ভবনের সমান লম্বা।
লিফট অফে, জিএসএলভি রকেটটিই একটি অরবিটার হিসাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে, যার মাধ্যমে ল্যান্ডার 'বিক্রম' (ইএসআরও প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাই নামে নামকরণ) এবং মুন রোভারের 'প্রজ্ঞান' -কে পাঠানো হবে।
গ্রিন এনার্জি ফান্ড গঠনের উদ্যোগে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার: ক্যাগ রিপোর্ট
চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর, যাকে ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান "পনের মিনিটের সন্ত্রাস" নামে উল্লেখ করছেন, সেটি গবেষণা শুরু করবে, চাঁদের সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ম্যাপিং সহ, সেটি সন্ধান করবে চাঁদের মাটিতে জলের বিষয়েএবং পাশাপাশি উচ্চ রেজুলেশন যুক্ত ছবিও তুলবে সেটি বলে জানা গেছে।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান চন্দ্রযান-২ কে "এখনও পর্যন্ত ইসরোর হাতে আসা সবচেয়ে জটিল মিশন" বলে অভিহিত করেছেন।